পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিকেলবেলা নরেন্দ্ৰ হাতের কলমটা রাখিয়া দিয়া খোলা জানালার বাহিরে চাহিয়া ছিল ইন্দু ঘরে ঢুকিয়া অদূরে একটা চৌকি টানিয়া লইয়া বসিল । নরেন্দ্র একবার মুখ ফিরাইয়া আবার সেই দিকেই চাহিয়া রহিল। কিছুদিন হইতে ইন্দু টাকা চাহে নাই, আজ সে কিসের জন্যে আসিয়া বসিল, তাহ নিশ্চয় অনুমান করিয়া তাহার বুকের ভিতরটা টিপটিপা করিতে লাগিল । ইন্দু টাকা চাহিল না ; কহিল, ডাক্তারবাবু বললেন, ব্যথাটা যখন ওষুধ যাচ্ছে না, তখন হাওয়া বদলানো দরকার। একবার কেন ८दgाgङ याख्3 मा । নরেন্দ্ৰ বাস্তবিকই চমকিয়া উঠিল। বহুদিন অজ্ঞাত বড় স্নেহের ধন যেন কোথায় লুকাইয়া তাহাকে ডাক দিল । ইন্দুর এই কণ্ঠস্বর সে ত ভুলিয়াই গিয়াছিল। তাই মুখ ফিরাইয়া হতবুদ্ধির মত চাহিয়া ক্ষণকালের জন্য কি যেন মনে মনে খুজিয়া ফিরিতে লাগিল। ইন্দু কহিল, কি বল ? তা হলে কালই গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়া যাক। বেশি দূরে কােজ নেই-এই বদ্যিনাথের কাছে—আমরা দু’জন কমলা আর ঝি-রামিটহল পুরানো বিশ্বাসী লোক, বাড়িতেই থাক । সেখানে একটা ছোট বাড়ি নিলেই হবে । তাহলে আজ থেকেই গুছোতে আরম্ভ করুক না কেন ? কোন প্রকার খরচের কথাতেই নরেন্দ্ৰ ভয় পাইত ! এই একটা বড় রকমের ইঙ্গিতে তাহার মেজাজ একেবারে বিগড়াইয়া গেল ! প্ৰশ্ন করিল, এই ডাক্তারটিকে আসতে বললে কে ? ইন্দু জবাব দিবার পূর্বেই সে পুনরায় কহিল, বিমলাকে বোলে। আমার পিছনে ডাক্তার লাগিয়ে উত্যক্ত করবার আবশ্যক নেই, আমি ऊाल अछि । বিমলা প্ৰচ্ছন্ন থাকিয়! ডাক্তার পাঠাইতেছে,-বিমলাই সব। ইন্দু অন্তরে আঘাত পাইল । তবু চাপা দিয়া বলিল, কিন্তু তুমি ত সত্যই ভাল নেই । ব্যথাটা ত সারেনি । (35 રે જે