পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এইবার ইন্দুও মুখ গম্ভীর করিল। কহিল, খোলা না পাই, বাইরেই থাকব । খুলে দেবার জন্য তঁার পায়ে ধরেও সাধব না-তোমাকেও সুপারিশ করতে ডাকব না। ও কি, রাগ করে চললে নাকি ? বিমলা দাড়াইয়া উঠিয়া কহিল, রাগ নয়-দুঃখ করেই যাচ্চি। বেী, নিজের বোনের চেয়ে তোমাকে বেশি ভালবেসেছি বলেই প্ৰাণটা কেঁদে কেঁদে ওঠে। দাদা যে অমন করে বলতে পারেন, আমি চোখে দেখে না গেলে বিশ্বাসই করতুম না। ইন্দু হঠাৎ একটু হাসিয়া বলিল, বক্তৃতা করা কখনো পৃষ্ঠার মুখে ९४२य भi । 峨 বক্তৃতা তুমিও কিছু কম করনি বেী। তবে তিনি যে আর কখনো, করবেন না, তা আমারও মনে হয় । এক কথা একশ’বার বলবার লোক তিনি নন। ইন্দু আবার হাসিয়া বলিল, সেও বটে,-তবে আর একটা গুরুতর কারণ ঘটেচে, যাতে আর কোনদিন স্বপ্নেও চোখ রাঙাতে সাহস করবেন। না। আমার বাবার চিঠি পেলুম। তিনি আমার নামে দশ হাজার টাকা। উইল করে দিয়েছেন। কি বল ঠাকুরবি, পায়ে ধরবার আর দরকার আছে বলে মনে হয় ? বিমলার মুখ যেন আরও অন্ধকার হইয়া গেল। বলিল, বে, এর পূর্বে কখনো তোমাকে তিনি চোখ রাঙাননি। যা করে পৃষ্ঠাকে ফেলে রেখে তুমি মেদিনীপুরে গিয়েছিলে, সে আমি তা জানি ; কিন্তু তবুও কোনোদিন এতটুকু তোমার নিন্দে করেন নি। হাসিমুখে তোমার সমস্ত দোষ আমার কাছেও ঢেকে রেখেছিলেন - সে কি তোমার টাকার লোভে ? বেী, শ্রদ্ধা ছাড়া ভালবাসা থাকে না। যে জিনিস তুমি তেজ করে হেলায় হারাচ্চো-সেদিন টের পাবে যেদিন যথার্থই হারাবে। কিন্তু এই একটা কথা আমার মনে রেখে বৌ, আমার দাদা অত নীচ নয়। আর না, সন্ধ্যা হয়-চললুম , কাল-পরশু একবার সময় হলে আমাদের বাড়ি এসো। আচ্ছা, বলিয়া ইন্দু পিছনে সদর দরজা পৰ্য্যন্ত আসিয়া o \රීම්سfof