পাতা:দায়ে খুন - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
দারোগার দপ্তর, ৮৩ সংখ্যা।

 মাণিক। না, এখন নয়, একটু অপেক্ষা করুন। যখন আমার প্রয়োজন হইবে, তখনই আপনি উহা আমাকে প্রদান করিবেন। এখন আপনি আপনার অগ্রিম বেতন গ্রহণ করিয়া আপনার কার্য্যে নিযুক্ত হউন।

 এই কথা শুনিয়া মাণিকচাঁদ তাঁহার টেবিলের দেরাজ হইতে দশখানি দশ টাকা হিসাবের নোট বাহির করিয়া আমার হস্তে প্রদান করিলেন ও কহিলেন, “এই নিন্ মহাশয়! আপনার অগ্রিম বেতন।”

 আমি নোট দশখানি আপন হস্তে গ্রহণ করিয়া কহিলাম, “ইহার নিমিত্ত আমার কোনরূপ রসিদ দিতে হইবে কি?”

 মাণিক। না, বেতনের টাকা পাইলেন, তাহার আর রসিদ কি? দেখি, আপনি কি কাগজ-পত্র আনিয়াছেন।

 মাণিকাচাঁদের এই কথা শুনিয়া আমার নিয়োগ-পত্রখানি ও একখানি চিঠি যাহা আমি বোম্বাই হইতে কয়েকদিবসমাত্র অগ্রে প্রাপ্ত হইয়াছিলাম, তাহা তাঁহার হস্তে প্রদান করিলাম।

 মাণিকাচাঁদ নিয়োগ-পত্রখানি ও চিঠিখানি একবার পড়িয়া দেখিলেন ও পরিশেষে কহিলেন, “আপনি এই পত্রের উত্তর লিখিয়াছেন কি?”

 আমি। না।

 মাণিক। নিয়োগ-পত্রখানি পাইবার পর, কোন পত্র লিখিয়াছেন?

 আমি। না, সর্ব্বপ্রথমে আমি যে একখানি দরখাস্ত করিয়াছিলাম, তদ্ব্যতীত আমি আর কোন পত্রাদি সেই স্থানে লিখি নাই।