পাতা:দায়ে খুন - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
দারোগার দপ্তর, ৮৩ সংখ্যা।

তাঁহার নিকট হইতে লিখাইয়া লইয়া মাণিকচাঁদ সেই ফারমে পাঠাইয়া দিবার ভানে কোনরূপে হস্তগত করিয়া পরিশেষে উহা আমার নিকট প্রেরণ করিলেন। যে টেলিগ্রামে বালমুকুন্ তাঁহার কার্য্যে নিয়োজিত হইবার আদেশ পাইয়াছিলেন, সেই টেলিগ্রাম খানি পর্য্যন্ত হস্তগত করিয়া আমার নিকট পাঠাইয়া দিলেন, এবং কোন না কোন কৌশল অবলম্বন করিয়া বালমুকুন যাহাতে বোম্বাই সহরে আসিয়া উপস্থিত হইতে না পারেন, তাহার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। এদিকে আমি সেই টেলিগ্রাম দেখাইয়া, আমাকে বালমুকুন নামে পরিচয় দিয়া, অনায়াসেই সেই কার্য্যে নিযুক্ত হইয়া সবিশেষ মনোযোগের সহিত নির্দ্দিষ্ট কার্য্য করিতে লাগিলাম। এইরূপে ক্রমে দশ বারদিবস অতিবাহিত হইতে না হইতেই যে যে স্থানে অর্থাদি বা বহুমূল্য অলঙ্কারাদি রক্ষিত থাকে, তাহা জানিতে পারিলাম, এবং সুযোগ মত ক্রমে ক্রমে সেই সকল স্থান যে সকল তালা দ্বারা আবদ্ধ ছিল, তাহার চাবি প্রস্তুত করাইয়া লইলাম। আমার ইচ্ছা ছিল, সুযোগমত একদিবস রাত্রিতে চাবি খুলিয়া সমস্ত অর্থাদি অপহরণ করিব, এবং পূর্ব্বের ন্যায় তালাবদ্ধ করিয়া দিয়া সেই স্থানেই কার্য্য করিতে প্রবৃত্ত থাকিব। চুরির বিষয় প্রকাশ হইয়া পড়িলে, এবং পুলিসের অনুসন্ধান ক্রমে শেষ হইয়া গেলে, চাকরী পরিত্যাগ করিয়া আপন ইচ্ছানুযায়ী স্থানে গমন করিব ও সেই স্থানে সেই সকল অর্থ ব্যয় করিয়া কিছুদিবস বাবুগিরি করিয়া কাটাইব। আমি যাহা ভাবিয়াছিলাম, ঈশ্বর কিন্তু তাহা হইতে দিলেন না। চুরি করিয়া বহির্গত হইবার কালীনই সমস্ত অপহৃত দ্রব্যের সহিত ধৃত হইলাম, এবং পরিশেষে আত্মরক্ষা