পাতা:দিল্লীশ্বরী.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিল্লীশ্বরী 38 তটস্থ হইল—দেশের উপর দীর্ঘকাল পরে আবার শাস্তির শীতলছায়ার বিস্তার হইল। রাজশক্তি এখন স্বৰূঢ় মুনিয়ন্ত্রিত ; তাহাকে উপেক্ষা করিবার আর কোন উপায় রহিল না। বঙ্গ হইতে পঞ্চনদ—"লক্ষ্মণাবতী হইতে দাহবুল ও দমূরিলা” পৰ্যন্ত সমস্ত স্থানের মালিক-আমীরগণ সসম্মানে রাঞ্জীর প্রভুত্ব স্বীকার করিলেন । আঠুগত্যের নিদর্শন-স্বরূপ রাজধানীতে অনেকেই বহুমূল্য উপঢৌকনাদি পাঠাইতে লাগিলেন। দেশের এই অভাবনীয় পরিবর্তনসাধন-অশান্তিময় উচ্ছস্থল রাজ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা আনয়ন করিয়া, সগৌরবে ও অক্ষুঃপ্রতাপে শাসনদণ্ডের পরিচালনা করা কি কম ক্ষমতার পরিচায়ক ? এইরূপ দুঃসময়ে রাজ্যশাসনে এরূপ কৃতিত্বলাভ ইতিহাসের কোন মহাচরিত্রের পক্ষেই গৌরবের বিষয় হইতে পারিত, এ কথা কাহারও অস্বীকার করিবার উপায় নাই। কিছু দিনের মধ্যে রাজ্যে আর শক্রপক্ষের প্রভাব দেখিতে পাওয়া যায় নাই। শমূদ্র-উদ্দীনের মৃত্যুতে সুযোগ পাইয়া স্ট্রির রস্তাভোর-দুর্গ অবরোধ করিয়াছিল বটে, কিন্তু তাহাও তাহার দখল করিতে পারে নাই। বুজিয়ং যথাসময়ে সেনাধ্যক্ষ কুতউদ্দীন হুসেনকে পাঠাইয়া অবরুদ্ধ দুর্গের উদ্ধারসাধন করিলেন।