পাতা:দিল্লীশ্বরী.djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩ রজিয়ং ষোল আনা সিদ্ধ করিয়া লইয়াছে—দিল্লীতে তাম্বারাই এখন সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব, তিনি কেহই নহেন। দেখিয়া শুনিয়া অস্তুনিয়ার পক্ষে আত্মসংবরণ করা কঠিন হইয়া উঠিল । অকৃতজ্ঞ স্বার্থপর সহযোগীদের উপর প্রতিশোধ লইবার জন্য অধীর হইয়া উঠিলেন। দেখিলেন, প্রতিশোধের এক অপুৰ্ব্ব উপায় তাহার কাতের কাছেই রহিয়াছে। এ ইচ্ছা করিলেই তিনি তাহার ঘৃণিত সুহৃদ্বর্গকে বিস্মিত, স্তম্ভিত, এমন কি, অতি গুরু দণ্ডে দণ্ডিত করিতে পারেন। অস্তুনিয়া রাজ্ঞীর নিকট সকল কথা প্রকাশ করিয়া ক্ষম প্রার্থনা করিলেন । তার পর সসঙ্কোচে এইরূপ অভিপ্রায় জানাইলেন, তিনি তাহাকে মুক্তি দিবেন। শুধু মুক্তিও নয়, যদি তিনি সম্মতি দেন, অস্তুনিয়া তাহাকে পরিণযপাশে আবদ্ধ করিয়া তাহার যাহারা শক্র,—অস্তুনিয়ার যাহারা দুষমৰূ— তাহাদের বিরুদ্ধে একবার তিনি মাথা তুলিয়া দাড়ান,—কৃত কার্যের প্রায়শ্চিত্ত করেন । সম্পূর্ণ আকস্মিক অদ্ভুত অপ্রত্যাশিত এই গ্রস্তাব। রজিয়ৎ অবাক হইয় গেলেন। তিনি ত জানিতেন, কারাগারের দ্বার আর উন্মোচিত হইবে না—এইখানেই তাহাকে পচিয়া মরিতে হইবে, তাহার পিতৃদত্ত রাজ্যের উন্নতিকামনা এই কারাগর্তেই বিলীন হইয়া যাইবে । কিন্তু কারাকক্ষের দ্বার অপ্রত্যাশিত হস্তুে উন্মোচিত হইয়াছে, আর সেই হস্ত তাহার রাজ্যেষ্ঠ কণ্টক দুর করিয়া দিবার জন্য অগ্রসর । রাজ্য ধ্যান, রাজ্য জ্ঞান, রাজ্যের জন্ত তিনি যে র্তাহার রমণী-হৃদয়কে পুরুষোচিত কঠোর করিয়া