পাতা:দিল্লীশ্বরী.djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f* দিল্লীশ্বরী ২৮ বহুকাল পরে মোগল-আমলে কোন কোন মনস্বিনী মহিলা সাম্রাজ্যের শাসন-দও পরিচালনা করিয়াছেন বটে, কিন্তু পর্দার ঘোর তাহার কেহই কাটাইয়া উঠিতে পারেন নাই,—জনান্তিকে সম্রাটের বা সিংহাসনের আড়ালে থাকিয়াই যথাসাধ্য কৰ্ত্তব্য পালন করিয়াছেন । কিন্তু এই তেজস্বিনী নারী পর্দার বিরুদ্ধে প্রকাশু বিদ্রোহ ঘোযণা করিয়া সিংহাসনে উপবেশন করিয়াছিলেন। না, শুধু পর্দার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা বলিলেও তাহার সম্বন্ধে সুবিচার করা হইবে না,—জাতি ধৰ্ম্ম ও সমাজের মজ্জগত সংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি সন্মুখ-সংগ্রামে প্রবৃন্ত হইয়াছিলেন। রমণীকে যোগ্যত্মর উপযুক্ত সম্মান দিতে আমরা পুরুষের যে নিতান্তই নারীজ, এ কথাটা শ্রুতিকটু হইলেও যে নিরতিশয় সত্য, তাহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই। একালে এই বিংশ শতাব্দীতেও যখন সমস্ত জগৎ সভ্যতার আলোকে উদ্ভাসিত বলিয়া আমরা গৰ্ব্ব করিতেছি, তখনও রমণীর অধিকারের স্থানটি ? আমরা যথাসাধ্য আড়াল করিয়া রাথিবীর চেষ্ট হইতে বিশ c হই নাই । আর রজিয়তের কথা ত আজিকার কথা নতে—প্রায় সাত শত বৎসর পূৰ্ব্বেকৰ্ণর কথা। বিশেষ তিনি অতিরক্ষণশীল মুসলমানসমাজের কল্প। রমণীর সিংহাসনে উপবেশনের ব্যাপার তখন অলীক অসম্ভব রূপকথা মাত্র। সুতরাং প্রতিকূলতার আর অন্ত ছিল না । শুধু একমাত্র আমুকুল্য ও প্রেরণার স্থান তাহার পিতা— ইয়লতিমিশ । কস্তাকে সিংহাসনে বসাইবার প্রস্তাব তিনিই