পাতা:দিল্লীশ্বরী.djvu/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯ রজিয়ৎ করিয়াছিলেন। অবশ্য পুত্রের অনুপযুক্ত বলিয়াই রাজ্যরক্ষার ভার তিনি উপযুক্ত কন্যার হস্তে অর্পণ করিবার অভিপ্রায় করেন। কিন্তু এইরূপ অভিপ্রায়ের মধ্যেই কি তাহার ঔদার্য্যের, তেজের ও স্বাধীন-চিত্ততার পরিচয় নাই ? ধৰ্ম্মমত বিরোধী,—সমাজ, আত্মীয়স্বজন জনমত প্রতিবাদী, সংস্কার প্রতিকূল, বৃদ্ধ ইয়লতিমিশ মন্ত্রিগণকে বলিতেছেন,—“কল্প সিংহাসনে বসে, ইহাই আমার অভিপ্রায় । আপনার আমার অভিপ্রায় কাৰ্য্যে পরিণত করুন।” স্বোপণজ্জিত রাজ্যে ইয়লতিমিশের মমত্ববোধ যে কতখানি, তাহ কেহই অস্বীকার করিবেন না। কিন্তু চিরাচরিত প্রথা, বদ্ধমূল সংস্কার, এবং কঠোর বিধি-নিষেধের কাছে প্রতিনিয়তই কি আমরা আমাদের প্রাণাধিক প্রিয় বস্তুকে অস্বীকার করিতেছি না ? কয় জনে আমরা সনাতন জড়ত র পাশ ছিন্ন করিয়া ন্যায়পথের যাত্রী হই । লাখে একজনও কি না সন্দেহ । সুলতান ইয়লতিমিশ, সেই দুল্লভ —সেই অসাধারণ চরিত্রের লোক । তাহার চরিত্রের এই বৈশিষ্ট্য কন্যা রজিয়তে পরিপূর্ণমাত্রায় বৰ্ত্তিয়ছিল, তিনি জনমতকে আপনার বিবেক-বুদ্ধির কাছে তৃণবৎ জ্ঞান করিতেন । কিন্তু সুলতানের মন্ত্রিসমাজ অত্যন্ত সাধারণ প্রকৃতির লোক । ইয়লতিমিশ বা তাহার কন্যার চরিত্র তাহদের কাছে অতি উচ্চ, অতি দুরোধ। তাহারা সকলে শিহরিয়া উঠিয়া একবাক্যে সুলতানের প্রস্তাবের প্রতিবাদ করিলেন,~–“এ যে নিতান্তই অসম্ভব অসঙ্গত কথা, জনাব যাহার কম্বার অভিভাবকস্থানীয় হইয়া তাহাবুসিংহাসন-রক্ষার সহায়স্বরূপ হইবেন, তাহদের মুখে এই