পাতা:দিল্লীশ্বরী.djvu/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিল্লীশ্বরী W)● প্রতিবাদের ঘোরতর কোলাহল । সুলতান হতাশার দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন,—‘কাজটা কিন্তু বড় ভাল হইল না। ফলাফল পরে বুঝিতে পারবে।’ মুলতানের মৃত্যুর পর মন্ত্রীর যে রজিয়ৎকে সিংহাসন দেন নাই, তাহ বলা বাহুল্য । তাহার রঞ্জিয়তের বৈমাত্রেয় ভ্রাতা রকৃন-উদ্দীনকে সিংহাসনে বসাইয়া বুঝিলেন, দূরদর্শী মুলতানের কথাটা বড় সত্য। বিলাসী অকৰ্ম্মণ্য রুকূলের শাসনকে অগ্রাহ করিয়া দেশব্যাপী অরাজকতার তাণ্ডব নৃত্য সুরু হইল, অত্যাচারঅবিচারের আর অবধি রহিল না । প্রজার অসন্তোষ ও অশান্তিতে ইন্ধন জোগাইতে লাগিলেন,–রুক্নের গর্ভধারিণী, উগ্রপ্রকৃতি শাহ, তুর্কান। পাছে সস্তানের সিংহাসনের কোন বিঘ্নবিপত্তি ঘটে, সেই ভয়ে অতি সতর্ক শাহ, তুর্কান রাজপুরীকে কসাইখানার মত রক্তাক্ত করিয়া তুলিলেন। মুলতানের অন্যান্য বেগমের তাহার হস্তে নিষ্ঠুরভাবে নিহত হইলেন, কুমার ৫উবের চক্ষুরত্ন উৎপাটিত হইল। কিন্তু অভীষ্ট পথের প্রবলতম অন্তরায় রজিয়ং উপহার চক্ষের উপর জীবিত ! তুর্কী যে তাহার সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত ছিলেন, ইহা কখনই সম্ভবপর হইতে পারে না। র্তাহাকে ধ্বংস করিবার জন্ত তিনি ভীষণ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইয়াছিলেন। অকস্মাৎ বিধাতার রুদ্ররোষ তাহার মাথার উপর গৰ্জ্জিয়া উঠিল। উত্তেজিত নাগরিকগণ ভীম-পরাক্রমে রাজধানী আক্রমণ করিয়া শাহ, তুর্কানকে বন্দী করিল। রাজনন্দিনী রজিয়ৎ সিংহাসন জুড়িয়া বসিলেন।