পাতা:দিল্লীশ্বরী.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७१ রঞ্জিয়ৎ তাহা হইলে তিনি তাহার রাজ্যোদ্ধারের ও আমীর-মালিকগণকে বিশ্বাসঘাতকতার উপযুক্ত প্রতিফল দিণর জন্ত প্রাণপণ চেষ্টা করিবেন । বুজিয়ং অসম্মত হইলেন না । যে-রাজ্যের অনুরোধে তিনি নারীত্বকে বিস্তুত হইয় পৌরুষের সাধনায় নিযুক্ত হইয়াছিলেন, সেই রাজ্যের অনুরোধেই আবার তিনি নারী হইয়া অলুতুনিয়াকে বরমাল্য দিতে প্রস্তুত হইলেন । ঠিক যেন একখানি স্বরচিত নাটকের একটি সুন্দর দৃপ্ত আমাদের মানস-চক্ষে উদ্ভাসিত ইয়া গেল। দুইটি চরিত্র তাহাতে যে ভাবের অভিনয় করিলেন, তাই আগাগোড়া ঔৎসুক্যের উদ্দীপক। এমন কি, ইগর পর আরও কি হয়-তাছাদের মিলন এবং মিলনের ফলাফল—দেখার জন্যও মনে একটা উদ্বেগের স্বষ্টি হইয়া রহিল। শুধু এই একটি মাত্র দৃপ্ত নহে, রজিয়তের সমগ্র জীবনই একখানি ঔৎসুক্যময় বিচিত্র নাটকের রঙ্গভূমি। ঘটনা-সংঘাতে ঘটনার স্বষ্টি, অন্তরের আন্দোলন, বিঘ্নবিপত্তির সহিত মানব-জীবনের কঠোর সংগ্রাম, ভাগ্যচক্রের অতর্কিত নিষ্ঠুর পীড়ন, প্রভৃতি নাটকীয় উপকরণ ইহাতে পুঞ্জীভূত। আশ্চর্যের বিষয়, বঙ্গের রঙ্গমঞ্চে বুজিয়তের নামে যে দৃশুকাব্যের অভিনয় হয়, তাহতে এই সকল ঐতিহাসিক উপকরণ আণুবীক্ষণিক অনুসন্ধানেও ধরিবার উপায় নাই। তাই রজিয়তে মত বীরচরিত্রকে রঙ্গমঞ্চে প্রেমের লুক্কারজনক অভিনয় করিতে দেখিয়া আমাদিগকে শিহরিয়া উঠিতে হয়। যে-নারী বিপদের পর্বতপ্রমাণ বাধাকে পদাঘাতে চূর্ণ করিয়া সিংহাসন জুড়িয়া বসে,