পাতা:দিল্লীশ্বরী.djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so দিল্লীশ্বরী 88 ছিল না। হতভাগ্য ধিয়াসের যাহা কিছু পথের সম্বল, পথিমধ্যে দস্যরা তাঁহা লুঠয়া লইল । আবার যে কয়টি অশ্বতর বাহন ছিল, তাহাও মরিয়া দুইটিতে দাড়াইল । সকলে পালক্রমে ইঙ্গদের পিঠে চড়িয়া পথ চলিতেন । ঘিয়াসের বিপদের উপর বিপদ, স্ত্রী গর্ভবত।—আসন্নপ্রদব। — Islর পায়ে হঁটিয়া পথ চলিবার উপায় নাই । একটি অশ্বতর তাঙ্গার জন্তই আবশ্যক। ঘিয়াসকে সকল অসুবিধা সহ করিয়া ইগর ব্যবস্থা করিতে হুইল কন্দাহারের নিকট পৌঁছিলে, সেই ঘোর দুৰ্দ্দিনে, অসহায় অবস্থায়, মরুপ্রান্তে মিহর-উন্নিসার জন্ম হইল (১৫৭৬-৭৭ ) । ক্ষুধাৰ্ত্ত ও পরিশ্রাস্তু ধিয়াস-পত্নী প্রসবকালে বড় কষ্ট পাইলেন ; তখন তাড়াদের না-আছে শুশ্ৰুষার লোক, না-আছে আঙ্গর্যের ব্যবস্থা । এই দুঃসময়ে উত্তপ্ত মরুশয্যায় যে শিশুর জন্ম হইল, কে জনিত, বিধাতা তাঙ্গার ললাটে ভারতের মহামহিমান্বিত রাজগঞ্জেশ্বরীর অতুলনীয় মুখ-সম্পদের অঙ্কপাত করিয়াছেন। নবজাত শিশুকে লইয়া স্বামি-স্ত্রীর দুর্ভাবনার অঙ্ক নাই। অনীহারক্লিষ্ট জননীর বক্ষে দুগ্ধ আসিবে কোথা হইতে ? প্রাণাধিক শিশুকে তাহারা কিরূপে বঁাচাইবেন ? ঘিয়াস ও তাহার পত্নী পাষণে বুক বধিলেন। পরামর্শ করিয়া স্থির করিলেন, কন্যাটিকে তাঙ্কার কাপড়ে জড়াইয় রাত্রে পথি কদলের মধ্যে রাখিয়া দিবেন— কোন-লা-কোন যাত্রী অবশ্যই তাহাকে বঁচাইবে । শিশু মাতৃবক্ষে অনাহারে শুকাইয়৷ মরিবে—এ দৃশু তাহারা কোন প্রাণে দেখিবেন ?