পাতা:দিল্লীশ্বরী.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

õጓ नूत्रखशनै আসিয়া সেতু অধিকার করিলেন ; সেতুরক্ষার জন্য র্তাহার দুস্থাজার রাজপুত সৈন্য মোতায়েন পুছিল, আর চার-পাঁচ শত সৈন্য সহ তিনি বাদশাহর ছাউনীতে প্রবেশ করিয়া, সম্রাটকে নজরবনী করিলেন। ক্রমে হাজার হাজার সশস্ত্র রাজপুত আসিয়া তাৰু ধিরিয়া ফেলিল। গোলমালে নূরজহান্‌ বেগমের কথাটা মহাবতের মনে হয় নাই। একটু পরেই মনে হওয়ায়, শঙ্কিত হইয়া তাহার খোজ করিলেন। সন্ধান মিলিল না—শিকার তখন হাতছাড় হইয়া পলাইয়াছে! ইহা চিন্তার কথা হইলেও আপাততঃ সম্রাটুকে যে হাত করা হইয়াছে, ইহাই যথালাভ মনে করিয়া মহাবৎ তাহাকে লইয়াই নিজের আবাসে ফিরিলেন। নূরজহান্‌ যখন দেখিলেন যে, মহাবৎ ও তাহার দলবল সম্রাটুকে বন্দী করিয়া, শিকারে যাইবার ছলে বাহির হইতেছে, তখন সেই অবসরে তিনি এক জন খোজার সঙ্গে বেমালুম সেখান হইতে সরিয়া পড়িলেন। তাছার পলায়নের উদ্দেশু, শুধু নিজে মুক্ত হওয়া নংে, —সম্রাটুকেও মুক্ত করা। তিনি নদী পার হইয়া, আর কোথাও না গিয়া বরাবর ভ্রাতা আসফের আবাসে গিয়া হাজির । রাগে তখন তাহার সর্বাঙ্গ জলিতেছে। রাগ শুধু মহাবতের উপরে নহে, তাহার নিজের লোকজনের—বিশেষত: ভ্রাতা আসফ খার উপরে। তিনি ভাইকে ও উপস্থিত সন্ত্রান্ত ব্যক্তিগণকে ধিক্কার দিয়া বলিলেন,-"কোন দিন যাগ স্বপ্নেও ভাবি নাই, তোমাদের দোষে আজ তাহা কার্য্যে পরিণত হইল। সম্রাটু আজ মহাবতের স্থাতে বী। আর তোমরা তাহার প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা না