পাতা:দিল্লী চলো - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দিল্লী চলো

 ভারতের স্বাধীনতার সেনাদল, আজ আমার জীবনের সবচেয়ে গর্ব্বের দিন। আজ ঈশ্বর আমাকে এই কথা ঘোষণা করার অপূর্ব্ব সুযোগ এবং সম্মান দিয়েছেন যে, ভারতকে স্বাধীন করার জন্য সেনাদল গঠিত হয়েছে। সিঙ্গাপুর একদিন বৃটিশ-সাম্রাজ্যের প্রাকারস্বরূপ ছিল; সেই সিঙ্গাপুরেই আমাদের বাহিনী এখন ব্যূহবদ্ধ অবস্থায় আছে। এই বাহিনী শুধু যে ভারতবর্ষকে বৃটিশের অধীনতা পাশ থেকে মুক্ত করবে তাই নয়, এর পর এই সেনাদলকেই ভিত্তি করে স্বাধীন ভারতের ভবিষ্যৎ জাতীয় বাহিনী গড়ে উঠবে। প্রত্যেক ভারতবাসী এই বাহিনীর জন্যে গর্ব্ববোধ করবে। এই বাহিনী তাদেরই নিজ বাহিনী, সম্পূর্ণ ভাবে ভারতবাসীদের নেতৃত্বে এ বাহিনী গঠিত হয়েছে। ঐতিহাসিক মূহূর্ত্ত এলে ভারতীয় নেতৃত্বেই এ বাহিনী রণক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে।

 বৃটিশ-সাম্রাজ্যে সূর্য্যাস্ত হয় না, বৃটিশ সাম্রাজ্য চিরস্থায়ী—একদিন লোকের মনে এই বিশ্বাস ছিল। আমি কোনদিনই এ ধরণের চিন্তা নিয়ে মাথা ঘামাইনি। ইতিহাস থেকে আমি এ শিক্ষা পেয়েছি, প্রত্যেক জাতিরই কোন না কোন সময়ে অধোগতি এবং পতন অনিবার্য্য। তাছাড়া, একদিন যেসব নগর ও দুর্গ সুরক্ষিত ছিল সেগুলো কি ভাবে সাম্রাজ্যের সমাধিভূমিতে পরিণত হয়েছে তাও আমি স্বচক্ষে দেখেছি। আজ বৃটিশ-সাম্রাজ্যের সমাধির উপর দাঁড়িয়ে যে কোন শিশুও এই সত্য বুঝতে পারবে যে প্রবল পরাক্রান্ত ব্রিটিশ-সাম্রাজ্য অতীতের বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ১৯৩৯ অব্দে ফ্রান্স যখন জার্ম্মানীর বিরুদ্ধে