পাতা:দিল্লী চলো - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আজাদ-হিন্দ সামরিক গবর্নমেণ্ট সংগঠন। একটি সংগ্রামশীল প্রতিষ্ঠান রূপে এই সামরিক গবর্নমেণ্ট স্থাপিত হয়েছিল; এই গবর্নমেণ্টে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরূপে মন্ত্রী তো আছেনই, তা ছাড়া আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামের জন্যে প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিভাগের মন্ত্রী ও উপদেষ্টারাও আছেন। জাপান, জার্ম্মানী এবং অন্য সাতটি মিত্রশক্তি আজাদ-হিন্দ সামরিক গবর্নমেণ্টকে স্বীকার করে নিয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলস্থিত আমাদের বন্ধু এবং মিত্রশক্তিদের ধন্যবাদ! সামরিক গবনমেণ্টের প্রতিষ্ঠা এবং অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে বহু মিত্রশক্তি কর্ত্তৃক তার স্বীকৃতির ফলে আমাদের নব মর্য্যাদার সৃষ্টি হয়েছে, এবং সমগ্র পৃথিবীর চোখে আমাদের সম্মান বেড়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকরা এর দ্বারা যথেষ্ট অনুপ্রাণিত হয়েছে। ১৯৪৩-এর ২৩শে অক্টোবর ব্রিটেন এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এই নবগঠিত সামরিক গবর্নমেণ্ট প্রথম উল্লেখযোগ্য পদপাত করেছিল।

 নিপ্পন-গবর্নমেণ্ট কর্ত্তৃক সামরিক গবর্নমেণ্টের স্বীকৃতির পরেই ১৯৪৩-এর ৫ই ও ৬ই নবেম্বর টোকিওতে বৃহত্তর পূর্ব্ব-এশিয়ার স্বাধীন জাতিপুঞ্জের প্রতিনিধিদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্রষ্টা হিসাবে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্যে আমন্ত্রিত হয়ে সামরিক গবর্নমেণ্ট ধন্যবাদের সঙ্গে সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে। এই সম্মেলন বৃহত্তর পূর্ব্ব-এশিয়ার স্বাধীন জাতিপুঞ্জ এবং ভারতের মধ্যে দৃঢ়সংবদ্ধ মৈত্রীভাব সংস্থাপনে সাহায্য করে। এই সম্মেলনে নিপ্পনের প্রধান মন্ত্রী জেনারেল তোজো এই মর্ম্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন যে, তাঁর গবর্নমেণ্ট সামরিক আজাদ-হিন্দ গবর্নমেণ্টের হাতে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অর্পণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এই ঘোষণা অনুসারে আজাদ-হিন্দ ফৌজের উচ্চপদস্থ কর্ম্মচারী এবং সামরিক গবর্নমেণ্টের মন্ত্রী কর্নেল এ. ভি. লোকনাথনকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রথম চীফ-কমিশনার

২৯