পাতা:দিল্লী চলো - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এই সব নরনারীর প্রয়োজন। সম্প্রতি যে সরবরাহ-মন্ত্রিবিভাগ সৃষ্টি করা হয়েছে তারও বিস্তৃতি-সাধন করতে হবে। যে সব মন্ত্রিবিভাগ আছে এবং ভবিষ্যতে যে গুলির সৃষ্টি করা হবে, তাদের কাজ তারা অবশ্যই করবে কিন্তু ভবিষ্যতে প্রধান দায়িত্ব পড়বে অর্থ, জনশক্তি এবং সরবরাহ বিভাগের উপর। মন্ত্রিমণ্ডলের পূর্ব্ব-এশিয়া কমিটি পূর্ব্ব-এশিয়ায় কাজ চালানোর জন্যে দায়ী থাকবেন; সেই সব মন্ত্রী এবং উপদেষ্টাদের নিয়ে এই কমিটি গঠিত হবে, যাঁরা সাধারণত পূর্ব্ব-এশিয়ায় কাজ করবেন।

 ভারতের মুক্তিপ্রাপ্ত অঞ্চলের শাসন ও পুনর্গঠনের পরিকল্পনা ইতিপূর্ব্বেই তৈরী করা হয়েছে এবং সুযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলো কার্য্যকরী করা হবে। এই উদ্দেশ্যে আজাদ হিন্দ দলের প্রয়োজনীয় কর্ম্মচারীদের রাখা হয়েছে এবং আজাদ-হিন্দ দলের সদস্যরা ইতিমধ্যেই ভরতের অভ্যন্তরে কিংবা ভারত-সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। সেই সব মন্ত্রী এবং উপদেষ্টাকে নিয়ে মুক্তিপ্রাপ্ত অঞ্চল কমিটি গড়ে তোলা হবে, যাঁদের উপর মুক্তিপ্রাপ্ত অঞ্চলের কার্য্যভার দেওয়া হয়েছে, কিংবা যাঁরা সেই সময় মুক্তিপ্রাপ্ত অঞ্চলে থাকবেন। মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতে কার্য্যপরিচালনার জন্যে মন্ত্রিমণ্ডলের মুক্তিপ্রাপ্ত অঞ্চল কমিটি দায়ী থাকবেন।

 মন্ত্রিমণ্ডলের যুদ্ধ-কমিটি গঠিত হবে সেই সব মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের নিয়ে যাঁরা ইংরেজ-অধিকৃত ভারতে সামরিক অভিযান চালনা সম্পর্কিত ব্যবস্থা এবং প্রচার, বৈপ্লবিক কার্য্যকলাপ, শাসন এবং পুনর্গঠন সম্পর্কিত বিধি ব্যবস্থা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।

 পরিবর্ত্তিত অবস্থার দাবী মেটানোর জন্য উল্লিখিত উপায়ে মন্ত্রিমণ্ডলকে তিন ভাগে বিভক্ত করতে হবে। এ সত্ত্বেও গবর্নমেণ্টের ঐক্য বজায় রাখতে হবে যাতে সর্ব্বাধিক ফল লাভের উদ্দেশ্যে এবং প্রধান লক্ষ্য অর্থাৎ ভারতের স্বাধীনতার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্যে তিনটি কমিটির কার্য্য কেন্দ্রীভূত এবং তাদের মধ্যে সমন্বয়-বিধান হয়।

৩৭