হইতে পারিয়াছিল, ও সেই সময় হইতে তাহার স্ত্রী তাহার সহিত সদাসর্ব্বদা কলহ করিত, সুতরাং সে মনে করিয়াছিল, আপন স্ত্রীর সহিত মনোবিবাদ করা অপেক্ষা যদি তাহার রক্ষিতা স্ত্রীলোকটা তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া যায় যাউক, তাহাতে তাহার কিছুমাত্র ক্ষতি নাই। তাহার মনের ভাব এইরূপ ছিল বলিয়াই সামান্য কারণে যখন সে গৃহ পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গেল, তখন সে তাহার আর কোনরূপ অনুসন্ধানই করিল। যাহার ঘর সে ভাড়া লইয়াছিল, তাহার সহিত তাহার এইরূপ কথা ছিল যে, যখনই সে ঘর পরিত্যাগ করিবে, সেই সময়ই তাহাকে ঐ ঘরে চুন ফিরাইয়া দিতে হইবে, এই নিমিত্তই সে ঐ ঘরে নুতন চুন ফিরাইয়াছিল, মাস শেষ হইলেই ঐ ঘর সে ছাড়িয়া দিবে। আর যাহার নিমিত্ত সে দাস-দাসী ও দারোয়ান রাখিয়াছিল, সে যখন চলিয়া গেল, তখন ঐ সমস্ত লোকের আর তাহার কোনরূপ প্রয়োজন রহিল না। সুতরাং সে তাহাদিগকে কার্য্য হইতে অপসারিত করিয়া দিয়াছিল, ও তাহার যে কে কোথায় গমন করিয়াছে, তাহার কিছুমাত্র সে অবগত নহে।
চামড়াওয়ালা আমাদিগকে এইরূপ কহিল সত্য কিন্তু তাহার কথায় আমরা কিছুমাত্র বিশ্বাস করিলাম না। অধিকন্তু যে সকল চাকয় তাহার ঐ বাড়ীতে কার্য্য করিত, অপরাপর কর্ম্মচারীগণ এক এরু করিয়া তাহাদিগের সকলকেই অনুসন্ধান করিয়া বাহির করিলেন।
ঐ সমস্ত লোক প্রাপ্ত হইবার সঙ্গে সঙ্গে ভিতরের সমস্ত অবস্থা বাহির হইয়া পড়িতে লাগিল। তখন সকলেই জানিতে