পাতা:দীর্ঘকেশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দারোগার দপ্তর, ১৫৯ সংখ্যা।

স্ত্রীলোকেরই অনুপস্থিতি সংবাদ প্রাপ্ত হইলাম না; কিন্তু পর দিবস এক এক করিয়া তিনটী ও তৎপর দিবস দুইটী নিরুদ্দেশের সংবাদ প্রাপ্ত হইলাম।

 এদিকে ডাক্তার সাহেব স্পিরিট বা অপর কোন দ্রব্য দ্বারা যাহাতে ঐ মস্তকটী কিছু দিবস রক্ষা করিতে পারেন, তাহার সবিশেষ চেষ্টা করিতে লাগিলেন।

 এই পাঁচটী দীর্ঘকেশী স্ত্রীলোকের নিরুদ্দেশের সংবাদ যাহারা প্রদান করিয়াছিল, সর্ব্বপ্রথমে তাহাদিগকে আনাইয়া সেই দীর্ঘ কেশযুক্ত ছিন্ন মস্তক দেখাইলাম, কেহই সবিশেষ চিনিতে পারিল না। উহাদিগের মধ্যে কেহ কহিল, যে স্ত্রীলোকটী পাওয়া যাইতেছে না, তাহার চুল প্রায়ই ঐরূপ ছিল। কেহ কহিল, তাহার চুল অত দীর্ঘ ছিল না। কিন্তু আমাদের এখন প্রধান কার্য্য হইল, ঐ কয়জন স্ত্রীলোক সম্বন্ধে একটু বিশেষ অনুসন্ধান করা, ও যদি সম্ভব হয়, উহাদিগকে খুঁজিয়া বাহির করা।

 যাহাদিগের স্ত্রী কন্যা বা ভগ্নী দুশ্চরিত্রা হইয়া আপনাপন স্বামী বা পিতা ও ভ্রাতার গৃহ পরিত্যাগ করিয়া কুলের বাহির হইয়া গিয়াছে, অথচ অনুসন্ধান করিয়া এ পর্য্যন্ত যাহারা তাহাদিগের কোনরূপ সন্ধান করিয়া উঠিতে পারে নাই, এখন তাহারা এই সুযোগ সহজে পরিত্যাগ করিল না। পুলিসের সাহায্যে যাহাতে এখন উহাদিগের অনুসন্ধান হইতে পারে, তাহার চেষ্টা করিতে লাগিল। যে স্ত্রীলোকের কেশ এক ফুটের অধিক নহে, তাহার কেশ ঐ ছিন্ন মস্তকের কেশের সমান লম্বা বলিয়া কেহ কেহ আমাদের নিকট প্রকাশ করিল। কাজেই আমাদিগকে ঐ সকল স্ত্রীলোকের অনুসন্ধানে নিযুক্ত হইতে হইল।