পাতা:দীর্ঘকেশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দীর্ঘকেশী।

যে পাঁচটী স্ত্রীলোকের নিরুদ্দেশ-সংবাদ আমরা প্রাপ্ত হইয়াছিলাম, তাহাদিগের অনুসন্ধানের ভার যে কেবল আমার উপরই ন্যস্ত হইল তাহা নহে, অপরাপর কর্ম্মচারীগণও তাহাদিগের অনুসন্ধান করিবার নিমিত্ত নিযুক্ত হইলেন। পূর্ব্বে আমরা যে উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করিয়া দীর্ঘকেশ স্ত্রীলোকের মস্তক প্রাপ্ত হইবার সংবাদ সহর ও সহরতলির ঘরে ঘরে প্রচারিত করিয়াছিলাম, এখন দেখিলাম, আমাদিগের সেই উদ্দেশ্যের বিপরীত ফল ফলিতে আরম্ভ হইয়াছে। পাঁচটী স্ত্রীলোককে অনুসন্ধান করিয়া বাহির করিতে প্রবৃত্ত হইয়া সেই কার্য্য শেষ হইবার পূর্ব্বেই আরও ত্রিশ, চল্লিশটী ঐরূপ সংবাদ আসিয়া উপস্থিত হইল। তখন বুঝিলাম, আমাদিগের কার্য্য সিদ্ধ হউক আর না হউক, যাহাদিগের গৃহ হইতে স্ত্রীলোক সকল বাহির হইয়া গিয়াছে, তাহারা তাহাদিগের কার্য্য আমাদিগের দ্বারা সম্পন্ন করাইয়া লইতে প্রস্তুত। আরও বুঝিলাম, যে ব্যক্তি ঐ স্ত্রীলোকটিকে হত্যা করিয়া দেহ হইতে মস্তক বিচ্ছিন্ন পূর্ব্বক পুষ্করিণীতে নিক্ষেপ করিয়াছে, সে কখনই ঐ স্ত্রীলোকের নিরুদ্দেশ সংবাদ আমাদিগকে প্রদান করিবে না, আর যদি ঐ স্ত্রীলোকটী কোন সম্ভ্রান্ত ঘরের হন, তাহা হইলে তিনি সর্ব্ব সাধারণের নিকট কখনই বাহির হইতেন না; সুতরাং সাধারণের নিকট হইতে ঐরূপ স্ত্রীলোকের সন্ধান পাওয়া নিতান্ত সহজ নহে।

 মৃত স্ত্রীলোকের কোনরূপ সন্ধান পাওয়া যাউক বা না যাউক, অপরাপর স্ত্রীলোকদিগের অনুসন্ধানে যখন হস্তক্ষেপ করা হইয়াছিল, তখন তাহা শেষ করিতেই হইবে। এখন আমরা তাহাদিগকে অনুসন্ধান করিয়া বাহির করার চেষ্টা না করিয়া তাহাদিগের মস্ত-