চাই কে আমাকে নামায়। ডেকে আনো তোমার জেনেরালকে।” শশাঙ্ক তখনো সরকারি কৰ্মচারী, উপরও আলার জ্ঞাতিগোত্রকে যথোচিত পাশ কাটিয়ে নিরাপদ পথে চলতে সে অভ্যস্ত। সে ব্যস্ত হয়ে যত বলে, “আহা, কাজ কী, আরো তো গাড়ি আছে,” শৰ্মিলা কানই দেয় না। অবশেষে জেনেরাল সাহেব রিশেমেণ্ট রুমে আহার সমাধা ক’রে চুরুট মুখে দূর থেকে শ্রীমূর্তির উগ্রতা দেখে গেল হ’টে। শশাঙ্ক স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে, “জানো কতবড়ো লোকটা।” স্ত্রী বললে, “জানার গরজ নেই। যে গাড়িটা আমাদের, সে গাড়িতে ও তোমার চেয়ে বড়ো নয়।”
শশাঙ্ক প্রশ্ন করলে, “যদি অপমান করত।”
শৰ্মিলা জবাব দিলে, “তুমি আছ কী করতে।”
শশাঙ্ক শিবপুরে পাস-করা এঞ্জিনিয়ার। ঘরের জীবনযাত্রায় শশাঙ্কের যতই ঢিলেমি থাক্ চাকরির কাজে সে পাকা। প্রধান কারণ, কৰ্মস্থানে যে তুঙ্গী গ্রহের নিৰ্ম দৃষ্টি সে হচ্ছে যাকে চলতি ভাষায় বলে বড়োসাহেব। স্ত্রীগ্রহ সে নয়। শশাঙ্ক ডিস্টিক্ট এঞ্জিনিয়ারি পদে যখন অ্যাকটিনি করছে এমন সময় আসন্ন উন্নতির মোড় ফিরে গেল উলটো দিকে। যোগ্যতা ডিঙিয়ে কাঁচা অভিজ্ঞতা