এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুই বোন
৩৩
শর্মিলা হেসে বলে, “ওটা তােমার জেলাসি। কেন, আমার তাে ওকে বেশ লাগে।”
শশাঙ্ক বলে, “ছােটো বােনের সঙ্গে ঠাঁই বদল করলে কেমন হয়।” শর্মিলা বলে, “তাহলে তুমি হয়তো হাঁপ ছেড়ে বাঁচো, আমার কথা আলাদা।”
শশাঙ্কের প্রতি নীরদেরও যে ভ্রাতৃভাব বেড়ে উঠছে তা মনে হয় না। মনে মনে বলে, “ও তো মজুর, ও কি বৈজ্ঞানিক। হাত আছে মাথাটা কই।”
শশাঙ্ক নীরদকে নিয়ে তার শালীকে প্রায় ঠাট্টা করে। বলে, “এবার পুরােনাে নাম বদলাবার দিন এল।”
“ইংরেজি মতে?”
“না বিশুদ্ধ সংস্কৃত মতে।”
“নতুন নামটা শুনি।”
“বিদ্যুৎলতা। নীরদের পছন্দ হবে। ল্যাবরেটরিতে ঐ পদার্থটার সঙ্গে পরিচয় আছে এবার ঘরে পড়বে বাঁধা।”
মনে মনে বলে, “সত্যি ঐ নামটাই একে ঠিক মানায় বটে।” ভিতরে ভিতরে একটা খোঁচা লাগে। “হায়রে, এতবড়ো প্রিগটার হাতে পড়বে এমন