পাতা:দুই বোন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুই বোন
৫৯

আমারই কথা মেনে চলবি ব’লেই তােকে আমি ডেকেছি। তাের হাসপাতাল তাে এখনাে তৈরি হয়নি, আমার ঘরকন্না তৈরি হয়েই আছে। আপাতত সেই ভারটা নে, তাের দিদি একটু ছুটি পাক।”

 রোগশয্যার কাছ থেকে ঊর্মিকে জোর ক’রেই দিদি সরিয়ে দিলে।

 আজ দিদির গৃহরাজ্যে প্রতিনিধিপদ ওর। সেখানে অরাজকতা ঘটছে, আশু তার প্রতিবিধান চাই সংসারের সর্বোচ্চ শিখরে একটিমাত্র যে পুরুষ বিরাজ করছেন তাঁর সেবায় সামান্য কোনাে ত্রুটি না হয়, এই মহৎ উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ ত্যাগস্বীকার এই ঘরের ছােটোবড়ো সমস্ত অধিবাসীর একটিমাত্র সাধনার বিষয়। মানুষটি নিরতিশয় নিরুপায় দেহযাত্রানির্বাহে শােচনীয়ভাবে অকর্মণ্য এই সংস্কার কোনােমতেই শমিলার মন থেকে ঘুচতে চায় না। হাসিও পায় অথচ মনটা স্নেহসিক্ত হয়ে ওঠে যখন দেখে চুরটের আগুনে ভদ্রলােকের আস্তিন খানিকটা পুড়েছে অথচ লক্ষ্যই নেই। ভােরবেলায় মুখ ধুয়ে শােবার ঘরের কোণের কলটা খুলে রেখে এঞ্জিনিয়র কাজের তাড়ায় দৌড় দিয়েছে বাইরে, ফিরে এসে দেখে মেজে