অভিমান দুর্ভেদ্য মৌনের অন্তরালে দুরভিভব হয়ে ওঠে। এই রুদ্ধ অশ্রুতে কুহেলিকাচ্ছন্ন অভিমানটা ভিতরে ভিতরে শশাঙ্ককে আনন্দ দেয়। ভালাে মানুষটির মতাে বলে, “ঊর্মি, কথা কইবে না এ সত্যাগ্রহ রক্ষা করাই উচিত কিন্তু দোহাই ধর্ম, খেলবে না এমন পণ তো ছিল না।” তারপরে টেনিস-ব্যাট হাতে করে চলে আসে। খেলায় শশাঙ্ক জিতের কাছাকাছি এসে ইচ্ছে ক’রেই হারে। নষ্ট সময়ের জন্যে আবার পরের দিন সকালে উঠেই অনুতাপ করতে থাকে।
কোনাে একটা ছুটির দিনে বিকেলবেলায় শশাঙ্ক যখন ডানহাতে লাল-নীল পেনসিল নিয়ে বাঁ আঙুল গুলাে দিয়ে অকারণে চুল উসকোখুসকো করতে করতে আপিসের ডেস্কে বসে কোনাে একটা দুঃসাধ্য কাজের উপর ঝুঁকে পড়েছে, ঊর্মি এসে বলে, “তােমার সেই দালালের সঙ্গে ঠিক করেছি আজ আমাকে পরেশনাথের মন্দির দেখাতে নিয়ে যাবে। চলাে আমার সঙ্গে।
শশাঙ্ক মিনতি ক’রে বলে, “না ভাই, আজ না, এখন আমার ওঠবার জো নেই।”
কাজের গুরুত্বে ঊর্মি একটুও ভয় পায় না। বলে,