মনে হচ্ছে ওর হার হােতে চলল। দিদিকে গিয়ে বললে, “দিদি, আমি তো তােমার কোনাে কাজ করতেই পারিনে—বলো তো বাড়ি ফিরে যাই।”
আজ তাে শর্মিলা বলতে পারলে না, “না যাসনে।” বললে, “আচ্ছা যা তুই। তাের পড়াশুনাের ক্ষতি হচ্ছে। যখন মাঝে মাঝে সময় পাবি দেখে শুনে যাস।”
শশাঙ্ক তখন কাজে বেরিয়ে গেছে। সেই অবকাশে সেইদিনই ঊর্মি বাড়ি চলে গেল।
শশাঙ্ক সে-দিন যান্ত্রিক ছবি আঁকার এক সেট সরঞ্জাম কিনে বাড়ি ফিরলে। ঊর্মিকে দেবে, কথা ছিল তাকে এই বিদ্যেটা শেখাবে। ফিরে এসে তাকে যথাস্থানে না দেখতে পেয়ে শর্মিলার ঘরে এসে জিজ্ঞাসা করল, “ঊর্মি গেল কোথায়।”
শর্মিলা বললে, “এখানে তার পড়াশুনাের অসুবিধে হচ্ছে ব’লে সে বাড়ি চলে গেছে।”
“কিছুদিন অসুবিধে করবে ব’লে সে তো প্রস্তুত হয়েই এসেছিল। অসুবিধের কথা হঠাৎ আজই মনে উঠল কেন।”
কথার সুর শুনে শর্মিলা বুঝলে শশাঙ্ক তাকেই সন্দেহ করছে। সে-সম্বন্ধে কোনাে বৃথা তর্ক না করে