পাতা:দুই শিষ্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুই শিষ্য।
১৩

 গৌরীলাল সহসা কোন উত্তর করিলেন না। তিনি একবার মনোহরগিরির দিকে চাহিয়া, কিছুক্ষণ কি ভাবিলেন। পরে বলিলেন, “আজ্ঞে আমি ত সে কথা বলিতে পারিলাম না। গুরুদেবের সহিত বেহারীর কখন দেখা হইয়াছিল?”

 আ। বেলা সাতটার সময়।

 গৌ। তাহা হইলে আপনার অনুমান যথার্থ।

 আ। আপনাদের মধ্যে আর কেহ কি বেহারীকে দেখিতে পাইয়াছিলেন?

 গৌ। আজ্ঞে সে কথা বলিতে পারিলাম না। আমরা সকলেই বেহারীকে বড় ভালবাসি। তাহার সহসা অন্তর্ধান হওয়ায় সকলেই আন্তরিক দুঃখিত হইয়াছি। আজ কাহারও আহার পর্য্যন্ত হয় নাই। এখনও সকলে মন্দিরে ফিরিয়া আইসেন নাই।

 আমি আর গৌরীলালকে কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া তাঁহার গুরুদেবের দিকে দৃষ্টিপাত করিলাম। দেখিলাম, তিনি একমনে আমাদের কথোপকথন শুনিতেছেন। আমি তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, ‘আপনার শিষ্যগণ কখন প্রত্যাগমন করিবেন বলিতে পারেন? যাঁহারা বেহারীর অন্বেষণে বাহির হইয়াছেন, তাঁহাদের কথা না শুনিয়া আমি কোন কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিতে পারিতেছি না।”

 আমার কথা শেষ হতে না হইতে এক মহা কলরব আমার কর্ণগোচর হইল। আমি আশ্চর্য্যান্বিত হইলাম। ভাবিলাম, বুঝি বেহারী ফিবিয়! আসিয়াছেন। মনোহরগিরি আর নিশ্চিন্ত ভাবে বসিয়া থাকতে পারলেন না। কলরবের কারণ জানিবার জন্য তিনি তৎক্ষণাৎ আসন হইতে গাত্রোত্থান করিলেন এবং