নাই, মাসিক প্রায় দুই সহস্র মুদ্রা কালভৈরবের সেবার জঞ্জ নির্দিষ্ট আছে।”
আ। কিরূপে কোথা হইতে ঐ টাকা আইসে?
ব। কালভৈরবের নামে একটা বিস্তৃত জমীদারী আছে। তাহারই আয় বার্ষিক প্রায় তেইশ হাজার টাকা।
আ। খরচ বাদ?
ব। আজ্ঞে হাঁ।
আ। ঐ টাকা কাহার নিকট থাকে?
ব। সেবায়েতের নিকট।
আ। তিনি কি উহা যথেচ্ছ ব্যবহার করিতে পারেন?
ব। আজ্ঞে হাঁ— তবে বাৎসরিক একটা হিসাব দাখিল করিতে হয়।
আ। কোথায়?
ব। যিনি এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন এবং দেবতার নামে এত টাকার সম্পত্তি উৎসর্গ করিয়াছেন তাঁহার নিকট। এখন তিনি নাই—হিসাব তাঁহারই বংশধরের নিকট প্রেরিত হয়।
আ। সেবায়েত নির্ব্বাচিত হয় কিরূপে?
ব। বর্ত্তমান সেবায়েত দ্বারাই নির্ব্বাচিত হয়। তিনিই জীবদ্দশায় একজন শিষ্যকে তাঁহার পদের উপযুক্ত করিয়া যান।
আমার কৌতুহল বৃদ্ধি হইল। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “মনোহরগিরি কি আপনাদের মধ্যে কোন শিষ্যকে তাঁহার পদের উপযুক্ত নির্ব্বাচন করিয়াছেন?”
বলদেব আমার মুখের দিকে চাহিয়া বলিলেন, “আজ্ঞে হ্যাঁ — তিনি বেহারীকেই ভাবী সেবায়েত করিবেন বলিয়া মনস্থ করিয়া-