ব। বোধ হয় না। তবে তিনি জানেন যে, কেদারনাথ এখন আর তাঁহার শিষ্য নহেন।
আ। কেমন করিয়া জানিলেন?
ব। কেদারনাথ একদিন গুরুদেবকে পত্র লিখিয়াছিলেন। সেই পত্রে তিনি গুরুদেবকে জানাইয়াছিলেন যে, তিনি আর তাহার শিষ্য থাকিতে ইচ্ছা করেন না।
আমি কিছুক্ষণ চিন্তা করিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনাদের মন্দিরে যত গুণি শিষ্য দেখিতে পাইলাম, তাঁহারা সকলেই পশ্চিম দেশবাসী ব্রাহ্মণ। কিন্তু কেদারনাথ নাম শুনিয়া ও তাঁহার ভট্টাচার্য্য পদবী জানিয়া বোধ হইতেছে, তিনি বাঙ্গালী। আপনাদের মন্দিরে কি আর কোন বাঙ্গালী শিষ্য আছেন?
ব। আজ্ঞে না। গুরুদেব এক কেদারনাথ ভিন্ন আর কোন বাঙ্গালীকে তাঁহার শিষ্য করেন নাই এবং আর করিবারও ইচ্ছা নাই। যখন কেদারনাথ তাঁহার শিষ্যত্ব লাভ করিবার জন্য বারম্বার অনুরোধ করেন, তখন গুরুদেব স্পষ্টই বলিয়াছিলেন যে, তিনি কোন বাঙ্গালীকে শিষ্য করিতে অভিলাষ করেন না। কিন্তু অবশেষে কেদারের নির্ব্বন্ধাতিশয় দেখিয়া অগত্যা সম্মত হন।
আ। তিনি কি এখনও জীবিত আছেন?
ব। আজ্ঞে হাঁ।
আ। তাঁহার নিবাস কোথায় জানেন?
ব। আজ্ঞে ঠিক জানি না। কেদারনাথ পূর্ব্বে যে স্থানে বাস করিতেন, সে বাড়ী আমার জানা আছে বটে, কিন্তু তিনি এখন সেই বাড়ীতে বাস করেন কি না, বলিতে পারি না।
আ। বেহারীর সহিত কি তাহার মৌখিক বিবাদ হইয়াছিল?