হইলেন। কিন্তু সে কেবল অল্পক্ষণের জন্য। পরক্ষণেই আমার দিকে চাহিয়া সসম্ভ্রমে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বলদেবের মুখে শুনিলাম, আপনি কোন সংবাদ জানিবার জন্য কুটীরে পদার্পণ করিয়াছেন অনুমতি করুন, কি জানিতে ইচ্ছা করেন? আমি অতি সামান্য লোক, আপনার ন্যায় লোকের আদর অভ্যর্থনা করিবার সামর্থ্য নাই।”
হৃষীকেশকে দেখিতে বেশ সুপুরুষ। তাঁহার বয়স প্রায় পঁয়তাল্লিশ বৎসর। দেহ হৃষ্টপুষ্ট, দেখিতে গৌরবর্ণ। শরীরের লাবণ্য দেখিয়া আশ্চর্য্যাম্বিত হইলাম। বিশেষতঃ তাঁহার সরল কথায় আমি আন্তরিক সন্তুষ্ট হইলাম। পরে বলিলাম, “আমার মত সামান্য লোকের জন্য আপনার ব্যস্ত হইবার প্রয়োজন নাই। আপনাদের সহিত তুলনায় আমি অতি সামান্য লোক।”
হৃষীকেশ আমার কথায় ঈষৎ হাস্য করিলেন। পরে অতি যত্নের সহিত একতলার একটী প্রশস্ত গৃহে লইয়া গেলেন। বলদেবও আমাদের সঙ্গে সঙ্গে গমন করিলেন।
ঘরের মেঝের উপর টানা বিছানা ছিল। আমরা তিনজনে তথায় উপবেশন করিলাম। কিছুক্ষণ এইরূপে অতীত হইলে পর আমি হৃষীকেশের দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “বেহারী, গিরির সহিত আপনার সদ্ভাব আছে কি?
হৃষীকেশ অতি বিনীতভাবে উত্তর করিলেন, “আজ্ঞে হাঁ— তাঁহার ন্যায় সাধু সচ্চরিত্র লোকের সঙ্গই আমি প্রার্থনা করিয়া থাকি। আপনার কথা শুনিয়া বোধ হইতেছে, তিনি এখনও মন্দিরে ফিরিয়া যান নাই।”
আ। আজ্ঞে না—আপনার অনুমান সম্পূর্ণ সত্য। শুনি-