তাহার মুখশ্রী অতি সুন্দর। কথাবার্ত্ত য় চতুর বলিয়া বোধ হইল। বালকের মুখে যে সকল কথা শুনিতে পাইলাম, তাহাতে আমি আর নিশ্চিন্ত থাকিতে পারিলাম না। তখনই শকট হইতে অবতরণ করিয়া সেই কুটীরদ্বারে বলদেবের নিকট গমন করিলাম।
বালক এতক্ষণ বলদেবের সহিত বেশ কথা কহিতেছিল। কিন্তু আমাকে পুলিশ-কর্মচারী দেখিয়াই হউক কিম্বা আর কোন কারণেই হউক, সে আর কোন কথা কহিল না।
বালকের কার্য্য দেখিয়া আমি বিস্মিত হইলাম এবং অতি মিষ্ট কথায় তাহাকে নিকটে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “তোমার নাম কি বাবা?”
আমার কথায় বালকের ভয় দূর হইল, সে অতি ধীরে ধীরে আমার নিকটে আগমন করিল এবং আমার মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, “আমার নাম সুরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
আ। তুমি কি কাজ কর?
সু। এখনও লেখাপড়া করি।
আ। কোন্ শ্রেণীতে পড় বাবা?
সু। আজ্ঞে—দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ি। আর বৎসর প্রবেশিক পরীক্ষা দিব।
আ। তোমার পিতা কোথায় বলিতে পার?
সুরেন্দ্রনাথ সহসা কোন উত্তর করিল না। কিছুক্ষণ কি ভাবিয়া বলিল, “আজ্ঞে সে কথা বলিতে পারিলাম না।”
বালকের কথায় আমি স্তম্ভিত হইলাম। মনে করিলাম, বোধ হয় কেদারনাথ পূর্ব্ব হইতেই পুত্রকে সাবধান করিয়া দিয়া থাকিবেন। কিন্তু মুখে সে সকল কথা না বলিয়া জিজ্ঞাসা করি-