পাতা:দুই শিষ্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুই শিষ্য।
৩৭

 বলদেবও ভয়ানক রাগান্বিত হইলেন। তিনি ক্রোধে অন্ধ হইয়া অত্যন্ত চীৎকার করিয়া বলিলেন, “তবে আর আমাদের অপরাধ লইবেন না। আমরা পুলিসে সংবাদ দিয়া এখনই আপনাকে গ্রেপ্তার করাইয়া দিব।”

 পুলিসের নাম শুনিয়া কেদারনাথ যেন ভীত হইলেন; তাঁহার কণ্ঠস্বর ক্রমশঃ মৃদু হইয়া আসিল। তিনি কোমলকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন আপনি আমার উপর অন্যায় দোষারোপ করিতেছেন? বহুদিন হইল, আমার সহিত বেহারীর সাক্ষাৎ হয় নাই।

 কেদারনাথের সহসা পরিবর্ত্তনে বলদেব হাসিয়া উঠিলেন। হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “আমরা সন্ন্যাসী মানুষ, মিথ্যা কথা বা অন্যায় আচরণ আমাদের দ্বারা সম্ভব নহে। আপনি যে কার্য্য করিয়াছেন, তাহাতে আপনার উপরই ভয়ানক সন্দেহ হয়, এবং সেই জন্যই আমরা পূর্ব্বেই পুলিসের আশ্রয় গ্রহণ করি। আপনার সম্মুখে এই যে সন্ন্যাসী দেখিতেছেন, ইহাকে সামান্য লোক মনে করবেন না। ইনি প্রকৃত সন্ন্যাসী নহেন।

 বলদেবের কথা শেষ হতে না হইতে কেদারনাথ এক বার চারিদিক অবলোকন করিলেন এবং কাহাকেও কোন কথা না বলিয়া সহসা বলদেবকে এমন এক ধাক্কা দিলেন যে, বলদেব তখনই পড়িয়া গেলেন। কেদারনাথ সেই সুযোগে সেখান হইতে পলায়ন করিতে চেষ্টা করিলেন।

 আমি প্রস্তুত ছিলাম, তখনই কেদারনাথকে ধরিয়া ফেলিলাম। কেদারনাথ বাস্তবিকই একজন বলিষ্ঠ লোক। আমি একা তাঁহাকে সহজে ধরিয়া রাখিতে পারিলাম না। বলদেব তখনও