পাতা:দুই শিষ্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
দারোগার দপ্তর, ২০১ সংখ্যা।

কৌশলে একটা প্রকাণ্ড গহ্বরের নিকট বেহারীকে লইয়া গিয়া সজোরে এমন এক ধাক্কা দিয়াছিলেন যে, বেহারী সেই পতনেই অজ্ঞান হইয়া পড়ে। আরও কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করিয়া কেদারনাথ যখন দেখিলেন, বেহারীর আর সাড়া শব্দ নাই, তখন সেখান হইতে প্রস্থান করিয়াছিলেন। তাহার পর সেদিন আমি সেই গহ্বরের নিকটে জনতা দেখিয়া বলদেবকে পাঠাইয়া দিয়াছিলাম, এ কথা পাঠক মহাশয়ের জানা আছে।

 কেদারনাথের কথায় তাঁহাকেই দোষী বলিয়া সাব্যস্ত করা হইল। বিচারে তাঁহার ফাঁসি হইয়া গেল। তাহার পুত্র সুরেন্দ্রনাথের কোন দোষ পাওয়া গেল না। সে কেবল পিতাকে রক্ষা করিবার জন্য কেদারনাথের প্ররোচনায় মিথ্যা বলিয়াছিল; সুতরাং অব্যাহতি পাইল।

 বেহারীর মৃত্যু সংবাদে মনোহরগিরি মর্ম্মাহত হইয়া পড়িলেন। মন্দিরের অনেক লোকই বেহারীর শোকে কিছুদিন ম্রিয়মান হইয়াছিলেন।

সমাপ্ত।

মাঘ মাসের সংখ্যা

“জ্ঞাতি-শত্রু”