পাতা:দুরাকাঙ্ক্ষের বৃথা ভ্রমণ.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 "বৃথা-ভ্ৰমণH ] না । বুঝিতেই পার, এমন স্ত্রীর এমন স্বামীর প্রতি কেমন অনুরাগ হয় । জুলিয়া দেখিতে অতি সুরূপ। তাহার অলকগুলি কুঞ্চিত হইয়া এরূপ ধুরভাবে কপোল দেশে পতিত হইত যে দেখিলে মোহিত হইতে হয় । নয়নযুগল উজ্জ্বল বিশাল ও ভ্রমরের স্যায় নীল। কপোলতল এরূপ স্বচ্ছ, যে মুখ দেখা যায়। আমি দেখিয়া অবধি যুবজন-সুলভ ভাবের অনধীন থাকি নাই। জুলিয়ার স্বামী অামার নৰ ন বয়স ও নির্ভয় ব্যবহার দেখিয়া অবশ্যই উদ্বিগ্ন এবং কোন বিষম ঘটনার শঙ্কায় জড়ীভূত থাকিতেন । তিনি আমার প্রভি অতি অপরিচিতভাবে ব্যবহার করিতে লাগিলেন, তথাপি তাহার পত্নীর সহিত আমার সাক্ষাৎকার বা কথোপকথন স্পষ্টরূপে নিযেধ করিতে পারেন নাই । ইউরোপের প্রথ} এদেশের মত যুবড়ীর পরপুরুষের সহিত অপলাপ করিতে নিষেধ করে না, অতএব আমি জুলিয়ার প্রতি শিষ্টাচার প্রদর্শন করিতে বিমুখ হই নাই । এই রূপে আমাদিগের পর্শ অতীষ্ঠ হইতে লাগিল। কোন দিন একটা হাঙ্গর, কোন দিন জগন্নাথের খন্দরের চূড়া, কোন দিন মছলীবন্দরে মাস্থলের বন, কোন দিন মফে ইর্মিমালয় তাহত উপকূলে অধিষ্ঠিত মান্দ্রাজনগরের প্রসাদ গ্র এই সকল দেখিতে দেখিতে আমরা বঙ্গোপসাগরের নীল জল ভেদ করিয়া যাইতে লাগিলাম। : # একদিন অত্যন্ত গ্রীষ্ম বোধ হইল, চক্রের স্ময়দান রশ্মিঙ্গল সমুদ্রের উরঃস্থলে চিকু চিক্‌ করিতে ছিল, বরুণ, দেব যেন শয়ান ছিলেন, ততাল্প বাতাঘাতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র लझ्द्रौ সঞ্চালিত হইতে 德, জগৎ স্তৱীভূত বোধ হইল, জলের