পাতা:দুরাকাঙ্ক্ষের বৃথা ভ্রমণ.pdf/২৩

2 S [ দুরাকাক্ষের কদিগের লৌহসদৃশ কঠিন দণ্ড পৃথিবীকে একেবারে বাসের অযোগ্য না করিয়া থাকে, তবে বোধ হয় এমন সুখ আর কোথাও পাওয়া যাইবে না, আমি এই স্থানে চিরতৃপ্তিতে জীবন ভোগ করিয়া মাতঙ্গ সদৃশ অবনীতে দেহাৰ্প, করিব। তখন কবির আপনাদের মধুর সংগীতে যাহার বর্ণন করেন, আমার সেই অবস্থা লাভ হইয়াছে বোধ হইল 1. } কমলাদীর ভাষায় সম্পূর্ণরূপে ব্যুৎপন্ন হইতে অtমার দুইমস লাগিল । এই দুষ্টম{স কাল আনি গৃহ হইতে বহির্গত হই নাই । আটালিকার নান গৃহের নানা বিধ সজ্জা দেখিয় বেড়াইতাম। এই সকল গৃহের মধ্যে কমলদীর বাসাগার অতি রমণীয়। ইহা হইতে সাগরের নীল জল অসংখ্য ক্ষুদ্রদ্বীপে অবাকীর্ণ লক্ষিত হইত। কল্লেীল ধূনি প্রভাতে কমল দীর নিদ্রা ভঙ্গ করিত। সুমন্দ বায়ুর প্রবাহে তাহার শয্যাস্তরণ চঞ্চলিত হইত । অস্তোন্মুখ দিনকর কিরণ গবাক্ষনাগরীর প্রবিষ্ট হইয়। ইহার ভিত্তি রঞ্জিত করিত । ইহার এক প্রশ্বে টবে রেপিত দুটা গেলিপ গাছ ছিল । তাহার নয়নত্রী পাটল বর্ণ কুসুমের আমোদে গৃহ সৰ্ব্বদা আমোদিত থাকিত। ভিত্তিতে হহুমান রাম লক্ষ্মণ প্রভৃতি রামায়ণের নায়ক বর্গের প্রতিমা চিত্রিত ছিল । পর্যাঙ্ক ধূমলবৰ্ণ এক গদি ও তদুপরি কুসুমী বর্ণে রঞ্জিত এক অস্তিরণ দ্বারা, আচ্ছাদিত ছিল । কমল দী এই শয়নে আপনার পরিপেলৰ অঙ্গ নিমগ্ন করিয়া নয়নে নিদকে অবকাশ দান করিত। অামার ইচ্ছা হইত যে যদি আমিই শয়নীয় হইতাম । অস্ট্রালিকার নিমুতলে একটা সংকীর্ণ