পাতা:দুরাকাঙ্ক্ষের বৃথা ভ্রমণ.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ দুরাকাঙ্ক্ষের অভিলাষ হইত । আমার এমন স্থান মনে করিয়াই নয়ন জলদ্র হইত। অামি কথিতদিনে সেই স্থানে যাইয়। আপনার শ্রমথিন্ন অঙ্গ পত্রোঙ্গুয়ে ঢালিয়া দিলাম । আমার শরীর পুরোবৰ্ত্তী শরবন দ্বারা আচ্ছাদিত রহিল । এই সময়ে আমার নিয়ে যেন মল্লিষের স্বর শ্রবণ করিলাম । প্রথমে আমার আশ্চর্য্যেৰ্ব সীমা রহিল না । আমার শরীর আপাদ মস্তক কম্পবান ও উৎপুলক হইল, এবং অতিশয় ঘাম বহিতে লাগিল । অস্তে আস্তে কর্ণের ভলস্থিত পত্ররাশি অপনয়ন পুৰ্ব্বক স্পষ্টই আমার দুই তিন জনের কথোপকথন শ্রবণগোচর হইল । একজন কহিল “ ওহে, আমাদের ধরিবার জন্য পুরস্কার অঙ্গীকার করিয়াছে, তবে এখন ওর ঘরে না একবার যাইলে মজা নাই ৷ ” আমি ইহাতেই বুঝিয়া লইলাম, যে কাহার কথা কহুিতেছে । আমার তখন আহলাদও হইল, ভয় ও হইল । দস্থাদিগের নির্জন স্থান পাইয়াছি বলিয়া আহলাদ হইল, যদি এখনি যাই, তবে রাত্রিকালে শরবনে পদশব্দ শুনিয়া তৎক্ষণাৎ বহির্গত হইয়া বিনাশ করিবে, এইরূপ ভাবিতে ছিলাম, ইত্যবসরে একটা শৃগাল খশ খশ করিয়া শরবনের উপরদিয়া চলিয়া গেল এবং প্রান্তে যাইয়। চীৎকার করিল । আমার বিলক্ষণ সুবিধ হইল। আমি অকুতে ভয়ে শরবনে চলিয়া গেলাম দস্বরা নিঃসন্দেহ পূৰ্ব্বোক্ত শৃগাল মনে করিয়া কিছু বলিল না । আমি দ্রুতবেগে সেনানাথের নিকট উপস্থিত হইয়। সংবাদ দিলাম। তিনি স্বয়ং পঁচিশজন গৃহীতশস্ত্র সৈনিক