পাতা:দুরাকাঙ্ক্ষের বৃথা ভ্রমণ.pdf/৩৭

^&b { দুরাকাঙ্গের ভাহাদিগের স্বার্থে বড় অষিত করিয়া ছিলাম, এই নিমিত্তই ইংরাজদিগের আমার প্রতি দ্বেষ হইল । কিন্তু আমি কিছু অষ্ঠায় করি নাই, সেনাপতি হইলে যুদ্ধে আর পাঁচ জন শত্রুর প্রতি যেমন ব্যবহার করে, ক্ষমিও সেইরূপ করিয়া ছিলাম । অতএব আমাকে করতলস্থ করিবার অভিলাষ গুপ্তভাবে সিদ্ধ করিবার নিমিত্ত প্রয়াস পাইতে লাগিল ! যদি প্রকাশিতভাবে তাহার একজন সেনাপতিকে আপনাদিগের হস্তগত হষ্টৰায় নিমিত্ত পণবন্ধ পত্রে প্রার্থনা করিত, তাহা হইলে ইউরোপে মুখ দেখাইবার পথ থাকিত না । অতএব টিপুর সহিত দূতদ্বারা এই কথাবাৰ্ত্ত স্থির হইল, যে, টিপু আমাকে ধরিয়া ইংরাজদিগের হস্তে সমর্পণ করিবেন । টিপুর মহাদ্বেষ ছিল, তিনি এই উপায়ে জামাকে অপসারণ করিতে বিমুখ হইলেন না ! আনি অতি শীঘ্রই এই বৃত্তান্ত জানিতে পারিলাম । আমার তখন টিপুর রাজ্যে ক্ষমতা অল্প ছিল না । সৈনিকের জানার নিতান্ত বশীভূত ছিল । সৈনাপত্যের বেতন পিত্তব্যয়িত সহস্থীরে ব্যয় করাতে অনেক বিভব সঞ্চয় করিয়া ছিলাম। এই দুই সুবিধার সুকৌশল-যুক্ত বিনিয়োগ করিলে টিপুর রাজ্যে বিলক্ষণ গোলযোগ বাধিত । কিন্তু আমি তাদৃশ ধৰ্ম্মজ্ঞানশূন্য ছিলাম না । তাহার পিণ্ডার উপকার দ্বারা বর্তী হইয়া সেই বল র্তাহtয় পুঞ্জের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করিতে আমার একবীরও অভিলাষ হইল না । আমি আপনার সমুদয় সামগ্রীর সহিপ্ত টিপুর রাজ্য পরিত্যাগ করিয়া মালোয় অভিমুখে