পাতা:দুরাকাঙ্ক্ষের বৃথা ভ্রমণ.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

JNడి দুরাকাঙ্গের চিৎকার করিয়া অামায় কম্পবাৰ করিল। একটু কিছু নড়িলেই চকিত হইতে লাগিলাম। আমার বস্ত্রের অভ্যস্তরে একখানি দড়ির মই ছিল । তাহার এক প্রস্তে দুইটা আংটাছিল। পাছেকেহ দেখিতে পায় এইভয়ে আমার ঘাম হইতে লাগিল। সন্ধ্যার পরেই কৃষ্ণপক্ষের নিশার ঘোর অন্ধকার জগতকে অণুসরণ করিল । আমি কন্ড প্রবোধদিয়া মনকে সহসযুক্ত করিলাম, কিন্তু আকাশে যেন কে আমি কে কত তিরস্কার করিতেছে এইরূপ বোধ হওয়াতে সমুদয় উৎসাহ জল হইয় গেল ! এইরূপে আমি খিড়কীর উদ্যানে, পুরুষদ পরিমান উচ্চপ্রাচীর কঁাপিতে কঁাপিতে উল্লঙ্ঘন করিলম । বাগানে প্রবেশ করিব মাত্র এক বুহুং জ্যোতির্মণ্ডল আমার নযনকে আঘাত করিল। দেখিলম রাজতনয়ার প্রাসাদ পরয়োজ্জল শোভা ধারণ করিয়ছে । অপবৃত বাতায়নদ্বারা প্রভ নির্গত হইয়া বৃক্ষদিগের পত্রপর্য্যন্ত রঞ্জিত করিয়াছিল । পেচকের পক্ষে সুৰ্য্যালেকের দ্য য় আমার এই আলোক বিষাদজনক হইল । সেই সময়েই মধ্যে প্রবেশ করিতে সাহসহইল না | এক ঝোপের ভিতর শঙ্কাকম্পিত চিত্তে লুক্কায়িত থাকিলাম। উঃ, তখন আমার এক মুহূৰ্ত্তও যুগেরস্যায় বোধ হইতে লাগিল । আমি পপ সম্পর্ণ রূপে না করিয়াই তাহার ফলভোগ করিলাম । সেই সময়ের কষ্ট কি আমি বাক্যে বর্ণন করিতে পারি ? যত উদ্বেগ, যত শঙ্কা, যত বিষ । ময় ভাবনা আমার হৃদয়কে চৰ্ব্বণ করিতে আরম্ভ করিল, তাহাদের ভয়ানক স্বরূপ কি শব্দ দ্বারা অন্যের হৃদয়ঙ্গম করাযায়। চারিদিকের মধুরসেরভ আমার অসহ্য হইল।