পাতা:দুরাকাঙ্ক্ষের বৃথা ভ্রমণ.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃথা ভ্রমণ । ] ৩৭ আমি পরমরমণীয় শোভায় দৃষ্টিপাত করিতে কষ্টবোধ করিতে লাগিলাম । আমার তখন বিলক্ষণ বোধ হইল যে মাচুষের সুখ ও দুঃখ মনের অবস্থারই অনুসারী । , তথাপি পাপের পথ এমনি পরিষ্কার ও মসৃণ, যে একবার তাহাতে প্রদাৰ্পণ করিলে প্রত্যাগমন করিতে পারন। দুরাচার পপিপিশাচ তোমাকে কত সাদরে অলিঙ্গন করিবে, কত প্রণয় দেখাইবে, তুমি তাহার বাহমাধুর্য্যে মোহিত নাহইয়া থাকিতে পারন। পরিশেষে যখন একেবারে বিনিপাভের গর্ভে ক্ষিপ্ত হও স্তখন তোমার অমৃতাপ উপস্থিত হইয় গাত্র জর্জরীভূত করে,মন নীরস করে এবং তীক্ষুরূপে কশাঘাত করিতে থাকে । আমি তখনও নিবৃত্ত হইলে কিছুমাত্র ক্ষতি হইতনা । কিন্তু দুঃপ্রবৃত্তি সমধিক বলবতী, আমাকে যেন বধিয়া রাখিল । ,” ༤སྣ་ নিশীথ সময় উপস্থিত হইল। আমি গোপনস্থান হইতে বহিভূত হইয়া আকাশে দ্যোতমান তারাবলী দেখিলাম । তাহারা যেন আমার কার্য্য দেখিবার নিমিত্ত চিক্‌ চিক্‌ করিতেছিল। পৰ্ব্বতের শীভবড় হুহু শল্প-করিয়া আমার মুখে লাগিয়া যেন দুষ্কর্য হইতে নিবৃত্ত করিতে লাগিল ; আমি এই অচেতন পদার্থের বারণ না শুনিয়া রাজকুমারীর জানালায় উঠিলাম। সমুদয় নিস্তব্ধ ছিল, সকল আলোক নির্বাণ হইয়াছিল, কেবল একটামাত্র প্রদীপ সুপ্ত নৃপতনয়ার মুখে আপনার প্রভাজাল ছড়াইয়া দিতেছিল। আমি এক উচ্চ পর্যাঙ্কে শয়ন বাজকুমারীর শরীর দর্শন করিয়া যেন জড়ীভূত হইয় झु ।”