পাতা:দুরাকাঙ্ক্ষের বৃথা ভ্রমণ.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ケ [ ছুরাকাঙেক্ষর গেলাম । সেই ভক্তিযোগ্য রূপ দর্শন করিলে মনে কোন প্রকার অসৎ প্রবৃত্তির আবির্ভাৰ হয় না। আমার সেই আকারকে যেন অলৌকিক জীব বোধ হইল । পবিত্রত যেন মূৰ্ত্তিমতী হইয়া আমি হইতে ভক্তির আকর্ষণ করিতে লাগিল । এরূপ মহিমা, এরূপ কান্তিচয়, এমন অধর্ষণীয়তা কখন দেখি নাই। তাহার রূপ মধুর, তথাপি মনে এক প্রকার সম্ভমের উৎপাদন করে । তোমার বোধ হইত না; যে এপদার্থ অন্য লোকের উপদানে নিৰ্ম্মিত অথবা পার্থিব শোক, তাপ ও রিপুর বশস্বদ । আমি চকিত হইয়া ক্ষণকাল এই মনোহর । বস্তু নিধান করিতে লাগিলাম। অামার সমুদয় মালিন্য, সমুদয় অসদাশয় দূরীভূত হইল। এই সময়ে রাজতনয়৷ জাগরিত হইয়া আমি ষে জানালীয় ছিলাম, অকস্মাৎ সেইদিকেই দৃষ্টিপাত করিলেন, আমাকে দেখিতে পাইয়াই কোপপ্রস্ফরিতধরে কহিলেন “ দুরাত্মন, আমি ভোর অভিসন্ধি অনেক দিন জানিতে পাব্লিয়ছি । তুই মনে করিয়াছিলি, যে এরূপ কৃতঘ্ন দুরাচারকে এক মারহাট • অবলা পাণি দান করিবে । যাহার শিরায় শিরাজীর রক্ত বহিতেছে, সে এই চরিত্রভ্রংশকর কার্যে প্রবৃত্ত হইবে ? আমি তোকে ভাল বালিয়াছিলাম, কিন্তু এক্ষণে বুঝিলাম, তুই আমার প্রীতির নিতান্ত অযোগ্য তথাপি আমি মহানুভবতা গুণে বলিতেছি, যে এই দণ্ডেই পলায়ন করু, নচেৎ আগামী দিনের স্বৰ্য্য তোকে এইখানে দেখিলে মালোয়া রাজ্য ভোর কলঙ্কিত রুধিরে কলুষিত হইবে।” এই