পাতা:দুরাকাঙ্ক্ষের বৃথা ভ্রমণ.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& So [ দুরাকাঙ্গের এইরূপ স্থির করিয়া, ভারতবর্ষে যে সকল পরিত্যক্ত ে আছে, যাহাদের প্রভুর দুর্দশাগ্রস্ত হইয়াছে, সেই 翼 ক্ষেত্রে গমন পূর্বক যাহা কিছু পাইতাম ভক্ষণ করিতাম । এইভাবে আমি ন ন স্থানে ভ্রমণ করিতে লাগিলাম । যদি কখন কোন প্রয়োজনীয় বৃক্ষের বীজ পাইতাম, তবে এই ভাবিয়া রোপণ করিতাম যে আমার না হউক, অন্যের উপকার হইবে । আমার এই অবস্থায় অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছসদ্য বোধ হইল । অামার নগর দেখিবার নিমিত্ত বড় অভিলাষ ছিল । আমি দূর হইতে নগরের প্রাকার, উচ্চ অটালিকা, নিমুস্থ নদীতে অগণনীয় পেতশ্রেণী, রাজমার্গে সাৰ্থ বণিগৃদল এই সকল দেখিতাম । আমি দেখিতাম পৃথিবীর সর্বভাগ হইতে পণ্য আনীত হইতেছে, বিভিন্ন রাজ্যের দূতের সাহায়ক প্রার্থনাৰ্থে আনিয়ছে, এবং সৈনিকের কার্য্যকালে অঅিদূরবত্ত প্রদেশ হইতে উপনীত হইতেছে । যত সাধ, আমি নগরের নিকটে যাইয়া বিস্ময় সহকারে পর্য্যটকবর্গের পদোদ্ধত ধূলিস্তম্ভ দর্শন করিতাম এবং উপকূলে সাগরতরঙ্গের আঘাত সদৃশ গোলমাল শ্রবণ করিয়া তথায় যাইবার নির্মিত্ত অতিশয় উৎসুক হইতাম । কিন্তু অপবিত্ৰজাতি বলিয়া প্রবেশের অনুমতি ছিল না । তখন আপনাআপনি কহিতাম, এরূপে বিভিন্ন বস্থ লোকে বা যে স্থানে আপনাদিগের শ্রম, ধন, ও আমোদ সংযুক্ত করিয়াছে, নিঃসংশয় সে স্থান অতি রমণীয় । দিন ভাগে যাইবার অনুমতি নাই বটে, কিন্তু রাত্রে আমাকে কে নিষেধ করে ? নিরুপায় মুষিক যাহার কত শক্ৰ আছে, সে অন্ধকারের আবরণে যথাইচ্ছা গমন করে, সে ভিক্ষুর কুটার