অদ্য প্রাতে বিমলার প্রার্থনানুসারে, চরমকালে তাঁহার স্বামিসন্দর্শন ঘটিয়াছিল।
বৈধব্য-ঘটনার দুই দিবস পরে বিমলার যে কিছু অলঙ্কারাদি অবশিষ্ট ছিল, তৎসমুদায় লইয়া তিনি কতলু খাঁর নিয়ােজিত দাসীকে দিলেন। দাসী কহিল, “আমায় কি আজ্ঞা করিতেছেন?”
বিমলা কহিলেন, “তুমি যেরূপ কা’ল ওসমানের নিকট গিয়াছিলে, সেইরূপ আর একবার, যাও; কহিও যে, আমি তাঁহার নিকট আর একবার সাক্ষাতের প্রার্থিতা; বলিও এই শেষ, আর তৃতীবার ভিক্ষা করিব না।”
দাসী সেইরূপ করিল। ওস্মান বলিয়া পাঠাইলেন, “সে মহাল মধ্যে আমার যাতায়াতে উভয়েরই সঙ্কট; তাঁহাকে আমার আবাস-মন্দিরে আসিতে কহিও।”
বিমলা জিজ্ঞাস করিলেন, “আমি যাই কি প্রকারে?” দাসী কহিল, “তিনি কহিয়াছেন যে, তিনি তাহার উপায় করিয়া দিবেন।”
সন্ধ্যার পর আয়েষার একজন দাসী আসিয়া অন্তঃপুররক্ষী খােজা-দিগের সহিত কি কথাবার্ত্তা কহিয়া, বিমলাকে সমভিব্যাহারে করিয়া ওস্মানের নিকট লইয়া গেল।
ওস্মান কহিলেন, “আর তােমার কোন্ অংশে উপকার করিতে পারি?” বিমলা কহিলেন, “অতি সামান্য কথা মাত্র; রাজপুত-কুমার জগৎসিংহ কি জীবিত আছেন?”
ও। জীবিত আছেন।
বি। স্বাধীন আছেন কি বন্দী হইয়াছেন?
ও। বন্দী বটে, কিন্তু আপাততঃ কারাগারে নহে। তাঁহার