বিমলার পত্র • X8? এই পৰ্য্যন্ত লিপি পাঠ করিয়া ওলমান অন্তমনে চিন্তা করিতে করিতে কালুকে কহিলেন, “তোমার কখন কি অন্ত কোন নাম ছিল না ?” বিমলা কহিলেন, “ছিল। সে ঘাবনিক নাম বলিয়া পিতা নাম রিবর্তন করিয়াছেন " “কি সে নাম ? মাতরু ?” বিমলা বিস্মিত হইয়া কছিলেন, “আপনি কি প্রকারে জানিলেন ?” ওস্মান কতিলেন, “আমিই দৃেষ্ট অপহৃত বালক।” বিমলা ধিস্মিত হইলেন । ওসমান পুনৰ্বার পাঠ করিতে লাগিলেন। “পরদিন প্রতে পাঠান বিদায়-কালে মাতাকে কহিলেন, “তোমার কল্প আমার যে উপকার করিয়াছে, এক্ষণে তাঙ্গার প্রত্যুপকার করি, এমত সাপ্য নাই। কিন্তু তোমার যে কিছুতে অভিলাষ ੇ, আমাকে । কহ ; আমি দিল্লী ঘাটতেছি, তথা হইতে আমি তোমার, আঠা খন্থ পাঠাইয়া দিব। অর্থ চড়ি, তাহাও পাঠাইয়া দিব ।” মাত কহিলেন, “আমার ধনে প্রয়োজন নাই। আমি নিজ কায়িক পরিশ্রম দ্বার স্বচ্চলে দিন গুজরান করি, তবে "যদি বাদসাহের নিকট আপনার প্রতিপত্তি থাকে,--” * এই সমস্ত কথা হইতে ন হইতে পাঠান কহিলেন, ‘ঘথেষ্ট আছে । আমি রাজদরবারে তোমার উপকার করিতে পারি।’ মাত কহিলেন, তবে এই বালিকার পিতার অনুসন্ধান করাইসু আমাকে সংবাদ দিবেন .’ ** পাঠান প্রতিশ্রত হইয়। গেলেন । মাতার হস্তে স্বর্ণমুদ্র দিলেন ; মাত৷ তাহা গ্রহণ করিলেনন। পাঠান নিজ প্রতিশ্রুতি অনুসারে রাজপুরুষদিগকে পিতার অনুসন্ধানে নিযুক্ত করিলেন। কিন্তু অমুসন্ধান পাওয়া গেল না । ”
পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।