পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতিযোগিতা . " ২১৩ করিতে লাগিলেন। ওসমান রাজপুত্রের প্রাণনাশে পুনঃ পুনঃ বিষমোস্কর্য করিতে লাগিলেন ; রাজপুত্র ভ্রমক্রমেও ওস্মানকে আঘাতের চেষ্টা করিলেন না, কেবল আত্মরক্ষায় নিযুক্ত রহিলেন। উভয়েই শস্ত্রবিষ্ঠায় স্বশিক্ষিত, বহুক্ষণ যুদ্ধ হইলে, কেহ কাহাকেও পরাজিত করিতে পারিলেন । ন। ফলত বনের অস্ত্রাঘাতে রাজপুত্রের শরীর ক্ষত-বিক্ষন্ত হলু; রুপিরে অঙ্গ প্লাবিত হইল ; ওস্মানের প্রতি তিনি একবারও আঘাত করেন নাই, সুতরাং ওস্মান অক্ষত। রক্তস্রাবে শরীর অবসর হইয় আসিল দেখিয়া, আর একপ সংগ্রামে মৃত্যু নিশ্চয় জানিয়া, জগৎসিংহ কারতস্বরে কহিলেন, “ওসমান, ক্ষাস্ত হও, আমি পরাভব স্বীকার । করিলাম ;” g 鳗 ও মানু উচ্চহান্ত করিয়া কহিলেন, “এ ত ভনিতাম না যে,রাজপুতসেনাপতি মরিতে ভয় পায় ; যুদ্ধ কর, আমি তোমার বধ করিব, ক্ষম করিব না। তুমি জীবিত থাকিতে আয়েযাকে পাইব না।” রাজপুত্ৰ কহিলেন, “আমি আরেষার অভিলাষী নহি ।” ওস্মান অসি ঘূর্ণিত করিতে করিতে কচিতে লাগিলেন, “তুমি আয়েষার অভিলাষী নও ; আয়েষা তোমার অভিলাষী। যুদ্ধ কর, ক্ষমা নাই ।” - রাজপুত্র অসি দূরে নিক্ষেপ করিয়া কহিলেন, “আমি যুদ্ধ করি না। তুমি অসময়ে আমার উপকার করিয়াছ ; আমি তোমার সহিত যুদ্ধ করিব না।” @ 。 ওস্মান সক্রোধে রাজপুত্রকে পদাঘাত করিলেন, কছিলেন, "যে সিপাহী যুদ্ধ করিতে ভয় পায়, তাহাকে এইরূপে যুদ্ধ করাই।” রাজকুমারের আর ধৈর্য্য রহিল না। শীঘ্রহস্তে ত্যক্ত প্রহরণ ভূমি ।