পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨>8 দুর্গেশনন্দিনী হইতে উত্তোলন করিয়া, শৃগালদংশিত সিংহবৎ প্রচণ্ড লম্ফ দিয়া রাজপুত্র বনকে আক্রমণ করিলেন। সে ছদম প্রহার যবন সহ করিতে পারিলেন "ন। রাজপুত্রের বিশাল শরীরাঘাতে ওস্মান ভূমিশারী হইলেন। রাজপুত্ৰ তাতার বক্ষোপরি আরোহণ করিয়া, হস্ত হইতে অসি উন্মোচন কব্লিয়া লইলেন, এবং নিজ করস্থ প্রহরণ তাহার গলদেশে স্থাপিত করিয়৷ কহিলেন, “কেমন, সমর-সাধ মিটিয়াছে ত ?” - ওস্মান কছিলেন, “জীবন থাকিতে নহে ।” রাজপুত্ৰ কহিলেন, “এখনই ত জীবন শেষ করিতে পারি?” ওস্মান কহিলেন, “কর ; নচেৎ তোমার বধাভিলাষী শত্রু জীবিত থাকিবে।" | . . জগৎসিংহ কছিলেন, “থাকুক, রাজপুত তাঙ্গতে উরে না ; তোমার জীবন শেষ করিতাম, কিন্তু তুমি আমার জীবন রক্ষা করিয়াছিলে, আমিও করিলায়।” এই বলিয়া দুই চরণের সঠিত ওস্মানের দুই হস্ত বদ্ধ রাখিয়া একে একে তাহার সকল অস্ত্র শরীর হইতে হরণ করিলেন। তপন-তাঙ্গকে মুক্ত করিয়া কহিল্লেন, “এক্ষণে নিৰ্ব্বিঘ্নে গুহে সাও, তুমি যবন হইয়। রাজপুত্রের শরীরে পদাঘাত করিয়াছিলে, এই জন্ত তোমার এ দশ৷ কুরিলাম, নচেৎ রাজপুতের এত কৃতঘ্ন নহে যে, উপকারীর অঙ্গস্পশ করে।” - o ওসমান মুক্ত ইলে, আর একটি কথা ন কহিয়, অশ্বারোহণ পূৰ্ব্বক একেবারে দুর্গাভিমুখে দ্রুতগমনে চলিলেন। * -- রাজপুত্র বস্ত্র দ্বার প্রাঙ্গণস্থ কুপ হইতে জল আহরণ করিয়৷ গাত্র ধৌত করিলেন। গাত্র ধৌত করিয়া, শালতরু হইতৃে মুশ্বমোচন পূৰ্ব্বক -ا