পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$3b" দুৰ্গেশনন্দিনী সক্তিত আর সন্দর্শন হইবে না । পুনঃপুনঃ হৃদয়মধ্যে চিন্তা করিয়া ইঙ্গ יין “করিয়াছি। রমণী-হৃদয় ঘেরূপ দুৰ্দ্দমনীয়, তাহাতে অধিক সাহস-অনুচিত । আর একবার মাত্র তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিব মানস আছে । নদি তুমি এ প্রদেশে বিবাহ কর, তবে আমায় সংবাদ দিও ; আমি তোমার বিবাহকালে উপস্থিত থাকিয়, তোমার বিবুল্লাহ দিব। দ্বিনি তোমার মহিষী হইবেন, তাহার জন্ত কিছু সামান্ত অলঙ্কার সংগ্ৰহ করিষ। রাখিলাম, যদি সময় পাই, স্বহস্তে পরাইয দিব। . - আর এক প্রার্থনা । যখন আয়েষার মৃত্যুসংবাদ তোমার নিকট ধাইলে, তখন একবার এদেশে • আসিও । তোমার নিমিত্ত সিন্ধুকমধ্যে স্বাঙ্গ রহিল, তাঙ্গ আমার অনুরোপে গ্রহণ করিও। আর কি লিপিব ? অনেক কথা লিখিতে ইচ্ছা করে, কিন্তু নিম্প্রয়োজন। জগদীশ্বর তোমাকে সুৰ্গা করিকেন, আয়েযার কথা মনে করিয়া কখনও তঃখিত হইও না ।” জগৎসিংহ পত্রপাঠ করিয়া বহুক্ষণ তাম্বুমধ্যে পত্ৰহন্তে পাদচারণ * করিতে লাগিলেন। পরে অকস্মাৎ শীঘ্রহস্তে একুপান কাগজ লইয়। নিম্নলিখিত পত্র লিপিয়া দূতের হস্তে দিলেন । “আয়েষ, তুমি রমণীরত্ব। জগতে মনঃপীড়াই বুঝি বিধাতার ইচ্ছা! আমি তোমার কোন প্রত্যুভর লিখিতে পারিলাম না ? তোমার পত্রে আমি অত্যন্ত কাতর হইয়াছি । এ প্রত্রের যে উত্তর, তাহা এক্ষণে দিতে পারিলাম না। আমাকুে ভুলিও না। বাচিয়া থাকি, তবে একবৎসর পরে ইহার উত্তর দিল ॥: - দূত এই প্রত্যুত্তর লইয়া, আরেষার নিকট প্রতিগমন করিল।