পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
দুর্গেশনন্দিনী

 কক্ষদ্বারে আশ্‌মানি আসিয়া বিমলাকে কহিল,—“কর্ত্তা তােমাকে ডাকিতেছেন।”

 তিলােত্তমা শুনিতে পাইয়া, আসিয়া কাণে কাণে কহিলেন,—“বেশ ত্যাগ করিয়া যাও।”

 বিমলা কহিলেন,—“ভয় নাই।”

 বিমলা বীরেন্দ্রসিংহের শয়নকক্ষে গেলেন। তথায় বীরেন্দ্রসিংহ শয়ন করিয়া রহিয়াছে। এক দাসী পদসেবা, অন্য ব্যজন করিতেছিল। পালঙ্কের নিকট উপস্থিত হইয়া বিমলা কহিলেন,—“আমার প্রতি কি আজ্ঞা?”

 বীরেন্দ্রসিংহ মস্তকোত্তোলন করিয়া চমৎকৃত হইলেন, বলিলেন,“বিমলা, তুমি কর্ম্মান্তরে যাইবে না কি?”

 বিমলা কহিলেন—“আজ্ঞা। আমার প্রতি কি আজ্ঞা ছিল?”

 বী। তিলোত্তমা কেমন আছে? শরীর অসুস্থ ছিল, ভাল হইয়াছে?

 বি। ভাল হইয়াছে।

 বী। তুমি আমাকে ক্ষণেক ব্যজন কর, আশ্‌মানি তিলােত্তমাকে আমার নিকট ডাকিয়া আনুক।

 ব্যজনকারিণী দাসী ব্যজন রাখিয়া গেল।

 বিমলা আশ্‌মানিকে বাহিরে দাঁড়াইতে ইঙ্গিত করিলেন। বীরেন্দ্র অপরা দাসীকে কহিলেন,—“লচ্‌মণি, তুই আমার জন্য পাণ তৈয়ার করিয়া আন্।”

 পদসেবকারিণী চলিয়া গেল।

 বী। বিমলা, তোমার আজ এ বেশ কেন?