বামুন ভাত গালে করিয়া উত্তর দিতেছে, ও ত কথা হ’ল না—এই ভাবিয়া আশ্মানি কহিল,—“ও রসমাণিক!”
উত্তর। “হুম্।”
আ। বলি কথাই কও না, খেও এর পরে।
উত্তর। “হু—উ—উম্!”
আ। বটে, বামুন হইয়া এই কাজ—আজি স্বামীঠাকুরকে বলে দেব, ঘরের ভিতরে কে ও?
ব্রাহ্মণ সশঙ্কচিত্তে শূন্য ঘরের চতুর্দ্দিক নিরীক্ষণ করিতে লাগিল। কেহ নাই দেখিয়া পুনর্ব্বার আহার করিতে লাগিল।
আশ্মানি বলিল, “ও মাগী যে জেতে চাঁড়াল! আমি যে চিনি।”
দিগজের মুখ শুকাইল। বলিল, “কে চাঁড়াল? ছুঁয়া পড়ে নি ত?”
আশ্মানি আবার কহিল, “ও, আবার খাও যে? কথা কহিয়া আবার খাও?”
দি। কই কখন কহিলাম?
আশ্মানি খিল খিল করিয়া হাসিয়া উঠিল, বলিল, “এই তো কহিলে।”
দি। বটে, বটে, বটে, তবে আর খাওয়া হইল না।
আ। হাঁ ত; উঠে আমায় দ্বার খুলে দাও।
আশ্মানি ছিদ্র হইতে দেখিতেছিল, ব্রাহ্মণ যথার্থই অন্নত্যাগ করিয়া উঠে। কহিল, “না, না, ও কয়টী ভাত খাইয়া উঠিও।”
দি। না, আর খাওয়া হইবে না, কথা কহিয়াছি।
আ। সে কি? না খাও ত আমার মাথা খাও।
দি। রাধে মাধব। কথা কহিলে কি আর আহার করিতে আছে?