বিমলা কহিলেন, “যুবরাজ! আমি আপনার আজ্ঞানুবর্ত্তিনী; কিন্তু একাকিনী রাত্রে এ পথে আসিতে অত্যন্ত ভয় পাই; অঙ্গীকার পালন না করিলেই নয়, এজন্যই আজ আসিয়াছি। এক্ষণে এ প্রদেশ শত্রুব্যস্ত হইয়াছে; পুনর্ব্বার আসিতে বড় ভয় পাইব।”
রাজপুত্র ক্ষণেক চিন্তা করিয়া কহিলেন,—“তুমি যদি হানি বিবেচনা কর, আমি তোমার সহিত গড়-মান্দারণে যাই। আমি তথায় উপযুক্ত স্থানে অপেক্ষা করিব, তুমি আমাকে সংবাদ আনিয়া দিও।”
বিমলা হৃষ্টচিত্তে কহিলেন, “তবে চলুন।”
উভয়ে মন্দির হইতে নির্গত হইয়া যান, এমন সময়ে মন্দিরের বাহিরে সাবধান-ন্যস্ত মনুষ্য-পদ-বিক্ষেপের শব্দ হইল। রাজপুত্র কিঞ্চিৎ বিস্মিত হইয়া বিমলাকে জিজ্ঞাসা করিলেন—“তোমার কেহ সমভিব্যাহারী আছে?”
বিমলা কহিলেন, “না!”
“তবে কার পদধ্বনি হইল? আমার আশঙ্কা হইতেছে, কেহ অন্তরাল হইতে আমাদিগের কথোপকথন শুনিয়াছে।”
এই বলিয়া রাজপুত্র বাহিরে আসিয়া মন্দিরের চতুর্দ্দিক প্রদক্ষিণ করিয়া দেখিলেন, কেই কোথাও নাই।