পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবার বান্ধব “আমার আয়টাত বড় বেশি নয়, এদিকে ছেলেটার জন্যও ত কিছু রেখে যেতে হবে, আমার ঘরে এসে বড় একটা সুখ ভোগ তুমি কখনো করলেন । এর পর আমি আর কদিন”-বলিতে বলিতে সত্য সত্যই রায় মহাশয়ের চোখে জল আসিল । শরৎ একটু নরম হইয়া কহিল, “ছেলের খাবার জন্য এত যে ভাবিছ, দেব ধৰ্ম্ম না করে শুধু ছেলের খাবার জোগালেই কি ছেলে বঁাচবে ?”-শরৎ আর বলিতে পারিল না, অজ্ঞাত আশঙ্কায় তাহার বুক কঁপিয়া উঠিল, কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া আসিল এবং চােখ দিয়া দুটী ধারা দুই গাল বাহিয়া ছুটিল। এইবার রায়মহাশয় নরম হইয়া পড়িলেন। ছেলের মুখে ভাত দেওয়ার দিন দেখাইবার জন্য নিসু ঠাকুরের বাড়ী চলিয়া গেলেন। মেয়েকে একাকী দেখিয়া ত্ৰিলোচন ঠাকুর অন্দরে প্রবেশ করিয়া আস্তে আস্তে বলিলেন, “জামাই বুঝি দিন দেখতে গেল ?” বেশ বেটী এইত টাই তুই যে এতটা পারবি তা স্বপ্নেও ভাবিনি। আর দেখহ শরৎ নাতির মুখে ভাত দিবিত একলা একলা দেওয়া চলবে না । তোর মাকে আর ভাইকে কিন্তু আনতে হবে। আর দেখিস তাের দেওরািদর কিন্তু জিজ্ঞাসা করতে পারবি নে। ব্যাটার তোর হিংসেয় মরে।” পিতার মতলবঁটা ঠাওর করিয়া লইতে ইদানীং শরতের বেশি। বিলম্ব হইতনা । শরৎ সংযত ভাবে বলিল “দেখ আগে ভাত হয়ই কিনা।” gyfer “কেন হবেন ? হবেনা। আবার! পড়েছেন আমার মেয়ের পাল্লায় ! సా8