পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विश्वाद दांक्षत्र আবার হবেনা, তার ব্যাপকে হতে হবে” ; এই বলিয়া ত্ৰিলোচন আশান্বিত নেত্ৰে কন্যার মুখের দিকে তাকাইলেন আর তখনই মুখনীচু করিয়া মাটির সঙ্গে মিশিয়া যাইবার মত হইলেন। শরৎ কিছু বলিল না। মাত্র এই কথা বলিল যে “বাবা সেটা তোমার মেয়ের বাহাদুরী বলে গৌরব করবার কিছুই নয়” বলিয়া শরৎ চট্ট করিয়া বাহির হইয়া গেল। ত্ৰিলোচন শঙ্কিত-বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হইয়া ভাবিলেন, ঘোরকলি ; জামাই বাড়ী আসিয়া অবধি ত্ৰিলোচন লক্ষ্য করিতেছিলেন জামাই যেন তাহার আগমনটা বিশেষ প্রীতির চক্ষে দেখেন না। এই নিয়া মাঝে মাঝে মেয়ে জামাইয়ে একটু কথাবাৰ্ত্তা হইতেও যে না শুনিয়াছেন এমন নহে। বলা বাহুল্য সেই সকল কথার মধ্যে ত্ৰিলোচনের সন্তুষ্ট হইবার মত কোন কিছুই থাকিত না। বরং ত্ৰিলোচন নিতান্ত দায়ে না পড়িলে এই সকল কথার পরেও জামাতৃ গৃহে বাস করিতেন। কিনা সন্দেহ। ত্ৰিলোচনের মেয়ের সঙ্গে তর্ক করিয়া ইদানীং জামাই বাবাজি যদিও অনেক সময় হার মানিতে বাধ্য হইতেন, তথাপি ত্ৰিলোচন ঠাকুর মেয়ের নিকট বিশেষ কিছু উৎসাহ লাভ করিতে পারিতেন না । ত্ৰিলোচনের মেয়েটী ক্রমেই একটু শক্ত গোছের হইয়া উঠিতেছিল। নিজের জীবনের ইতিহাস আলোচনা করিয়া শরৎ একটী সত্য আবিষ্কার করিতে চেষ্টা পাইত। সেই সত্যটা অন্যকিছু নহে, পিতার নিজের দিক দিয়া নীচলুব্ধতা ও মেয়ের দিকদিয়া পরম ঔদাসীন্য-এই দুয়ের সংমিশ্রণে তাহার গঠিত দাম্পত্য জীবনরূপ ଈ (: