পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবার বান্ধব পুত্ৰমুখ দর্শনের আনন্দোৎসব-নিত্য নূতন নূতন রসে দম্পতীর হৃদয় প্লাবিত করিয়া দিতেছে-আহ সে যে স্বর্গেরই বস্তু ! আগেকার দিনে হইলে রায়মহােশর শ্বশুরের বিরুদ্ধে হয়ত ঠেঙ্গা লইতেন, আর এখন ?--রায় মহাশয় এখন ধনসম্পত্তির চাইতে মূল্যবান জিনিষ পাইয়াছেন-তবু যাহা বলেন অভ্যাস দোষে,-কিন্তু শরৎ পিতার ‘লজ্জাকর ব্যবহারে বড়ই মৰ্ম্মাহত হইতেছিল আর সহ করিতে না। পারিয়া একদিন বলিল, “বাবা জামাই বাড়ী এসে ; এতদিন থাকাটা কি ভাল দেখায় ? একবার মাকে দেখে এলে হতো না ?” ত্ৰিলোচন সপ্ৰতিভ ভাবে বলিয়া উঠিলেন “সেকি শরৎ নাতির মুখে ভাত দেওয়া হবে শুনে, তোর মা জননীও যে এখানেই আসবে, মার আমার কিছুই মনে থাকে না এমনি ভোলা মন” বলিয়া ত্ৰিলোচন ঠাকুর হাসিয়া উঠিলেন। শরৎ মাটির দিকে তাকাইয়া বলিল, “সেত এখনো একমাস পরের কথা।” “তা হোক মা, তারা একটু আগে না এলে, কাজকৰ্ম্ম কে গোছাবে বল দিখিন ? আমি ত তোর জ্ঞাতিদের হাতে ও সব अश्र्व् কাৰ্য্যেরভার 6ि निbिङ्ठु থাকতে পারবো না মা, আমার যে মোটে এই একটী নিধি,”- এইবার শরৎ একটু উত্তেজিত কণ্ঠে বলিল,-“দেখ বাবা তঁাবা আমার পর হ’লেও তোমার জামাই বা নাতির পর নয়,-তুমি এসব কথা মুখে আনলে, শুনতে পেলে ওদের কষ্ট্রের একশেষ হবে।” “তোর যেমন বুদ্ধি তেমনি কথা জ্ঞাতি আবার আপনার হয়’ ! ܠ