পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिक्षद्भ । এদিকে রায় মহাশয় খুব সতর্ক লোক বলিয়া টাকার থলেটি নিজের মুঠার মধ্যেই রাখিয়া তবে অন্য কাজের বিলি বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন ; ত্ৰিলোচন ঠাকুর অনেক রকমের ভদ্র অভদ্র আকার ইঙ্গিতে সেই কাৰ্য্যভারটাও নিজের স্কন্ধে বহন করিবার সামৰ্থ্য ও অভিপ্ৰায় জানাইয়া জামাতা বাবাজিকে রুগ্ন মেয়ের সেবা কাৰ্য্যে নিযুক্ত করিবার বৃথা চেষ্টা পাইতে কসুর না করিলেও রায় মহাশয় তাহাতে একবিন্দু টলিলেন না। এদিকে বেী বেচারী নিজের হাতে রাধিয়া দেওয়া-থোওয়া করিতেছিল, আবার চরকীর মত ঘুরিয়া ঘুরিয়া প্ৰত্যেক ফাঁকে জেষ্ঠ শাশুড়ীর বিছানার গোড়ায় আসিয়া আবশ্যক মত ঔষধ পথ্যও যোগাইতেছিল। শরৎ এক রকম বেহুস হইয়া থাকিত, আবার বৌ এর শীতল করম্পর্শে সাময়িক চেতন্য লাভ করিয়া বৌ এর মুখের দিকে বড় বড় চোখ দুটি তুলিয়া ধরিয়া কি যেন একটি অপূৰ্ব্ব শান্তির আভাস পাইয়া একটু ঠাণ্ডা হইত । বৌকে মেয়ের ঘরে আসিতে দেখিলেই শরতের মাতা চীলের মত সেই খানে ঝাপাইয়া পড়িতেন দেখিয়া শরতের রোগশীর্ণ মুখখানী লজ্জা ও বিরক্তিতে আরও বিবৰ্ণ হইয়া যাইত। শরতের মা কিন্তু তাহাতে ভ্ৰক্ষেপও করিতেন না, তিনি গুষ্ঠিগুদ্ধ খাটিয়া মরিয়াও যে নাম যশ অর্জনের বেলা প্ৰবল প্ৰতিবাদিগণের আগ্ৰহ দেখিয়াও সহ্য করিবার মত মায়ের পেটে জন্মান নাই, সেই কথাটাই নানা রকম কথা বাৰ্ত্তার মধ্য দিয়া শরৎকে বিশেষত বৌকে শুনাইয়া à 0 »